Kolkata Fraud Case: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের পাথর নাকি! ৩২ লক্ষ টাকা খোয়ানোর পর ব্যবসায়ী বুঝলেন আসল কেস…

Kolkata Fraud Case: এক মহিলা-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। বিধাননগর আদালতে ধৃতদের আজ পেশ করা হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩২ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

Kolkata Fraud Case: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের পাথর নাকি! ৩২ লক্ষ টাকা খোয়ানোর পর ব্যবসায়ী বুঝলেন আসল কেস...
বিধাননগর থানা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 9:43 AM

কলকাতা: সল্টলেকের এফ এফ ব্লকে একটি বাড়ির একতলায় ভাড়া নিয়েছিলেন কয়েকজন। সাজিয়ে গুছিয়ে অফিস খুলে বসেছিলেন। সেখানে নাকি বিক্রি হত বহু মূল্যবান অ্যান্টিক পাথরের সামগ্রী। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের বহু মূল্যবান সামগ্রীও নাকি মিলত তাঁদের কাছে। সুমিষ্ট মৃদুভাষী ব্যক্তিদের কথায় ভুলে যেতেন অনেকেই। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কিনে নিতেন পালিশ করা সাধারণ পাথর, যার বাজার মূল্য কয়েকশো টাকা। বহু মূল্যবান পাথর বিক্রির নামে মাস চারেক ধরে এই ভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল এক চক্র। অবশেষে পুলিশের জালে মূল পাণ্ডা-সহ ৭। বুধবার  এক মহিলা-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। বিধাননগর আদালতে ধৃতদের আজ পেশ করা হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩২ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্র মারফত খবর, সল্টলেকের এফ এফ ব্লকে ভাড়ায় একটি ঘর নিয়ে অফিস খুলে বহু মূল্যবান অ্যান্টিক পাথর বিক্রি করার নামে টোপ দিয়ে ফাঁদ পেতে প্রতারণা চালাত এই চক্র। সল্টলেকে চার মাস থেকে ওই ঘর ভাড়া নিয়ে অফিস চালাত এই চক্রটি।

সম্প্রতি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কর্তারা ওই ব্যক্তির কথা শুনে তাজ্জব বনে যান। তাঁর অ্যান্টিক জিনিস সংগ্রহ করার নেশা রয়েছে। সেই সূত্রেই কোনওভাবে এই চক্রের পাল্লায় পড়েন তিনি। প্রতারিত ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, তাঁর সঙ্গে ওই অফিসের রিসেপশনিস্ট মহিলার কথা হয়। প্রথমে ফোনেই কথা হয়। তারপর তিনি যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় অফিসে যান।

অফিসের একাধিক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় তাঁর। রীতিমতো তাঁকে বুঝিয়ে একটি বহু মূল্যবান অ্যান্টিক পাথর এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তার অগ্রিম বাবদ ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া হয় ৩২ লক্ষ টাকা। ব্যবসায়ী সেই ব্যক্তি টাকা দিয়েও দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি সেই পাথর হাতে পাননি। এরপরই বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই অফিস সল্টলেকের এফ এফ ব্লকে চার মাস ধরে চলছে। তার আগে সেখানে অন্য অফিস ছিল। তবে এই ব্যক্তি কেবল নয়, আরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছে এই অফিস। এর আগে আর কোন কোন জায়গায় অফিস খুলে এই চক্র প্রতারণা চালিয়ে, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে বিধাননগর দক্ষিণ থানার একটি দল ওই অফিসের হানা দেয়। তখন ওই মহিলা রিসেপশনিস্টও ছিলেন। তাঁকে সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের এদিনই বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে।

ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ৪২০/৪০৬/৪৬৮/৪৭১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে এমনটাই সূত্র মারফত খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে একাধিক প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলছে সল্টলেকের বুকে। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন ছলে সাধারণ ব্যক্তিকে জালে ফাঁসাচ্ছে তারা। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেই আরও বেশি সচেতনতার সঙ্গে পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। অযথা আগেপিছু না ভেবেই কাউকে বিশ্বাস করে টাকা না দেওয়ার কথা বলছে পুলিশও।

আরও পড়ুন: Weather Update: ঝাঁপিয়ে আসছে বৃষ্টি, আর কতদিন বঙ্গে থাকবে কুয়াশামাখা শীত? জানাল হাওয়া অফিস