AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Air Pollution in Kolkata: একরাতেই ‘গ্যাস চেম্বার’, দীপাবলিতে বিষ-বাজির আকাশদখল! দিল্লিতে কড়া টক্কর কলকাতার

Air Pollution in Diwali: শীতকাল এলেই কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয় দিল্লি। দীপাবলি এলেই তাতে আরও বিষের আমদানি হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়। বাতাসের গুণমান সূচক তলানি। শ্বাস নিতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে দিল্লিবাসীর। কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে বাঁচার পরিকল্পনা করছে দিল্লির সরকার।

Air Pollution in Kolkata: একরাতেই ‘গ্যাস চেম্বার’, দীপাবলিতে বিষ-বাজির আকাশদখল! দিল্লিতে কড়া টক্কর কলকাতার
কী বলছে তথ্য? Image Credit: TV 9 Bangla GFX
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2025 | 9:27 PM
Share

কলকাতা: আলোর উৎসবে আলোর চেয়েও বেশি নজর কিন্তু বাজিতেই। ফাটল দেদার বেআইনি বাজি। রাত বাড়তেই বাড়ল শব্দ দানবের তাণ্ডব। দীপাবলিতে রাজধানী দিল্লির দূষণের সঙ্গে সমানে টক্কর দিল কলকাতা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দেখে ভিড়মি খাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। কার্যত পুলিশের নাকের ডগায় বেআইনি বাজির কার্নিভ্যাল দেখল গোটা বাংলা। দীপাবলির মধ্যরাতে চরমে পৌঁছে গেল শব্দবাজির দাপট। রবিবার রাতেও বেশিরভাগ জায়গায় বাতাসের মান মোটের উপর ভাল ছিল। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ছবিটা বদলে গেল। দিল্লির মতোই সমান বিষ দেখা গেল তিলোত্তমার বাতাসে। 

শীতকাল এলেই কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয় দিল্লি। দীপাবলি এলেই তাতে আরও বিষের আমদানি হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়। বাতাসের গুণমান সূচক তলানি। শ্বাস নিতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে দিল্লিবাসীর। কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে বাঁচার পরিকল্পনা করছে দিল্লির সরকার। অন্যদিকে কলকাতার দুর্দশাও প্রায় এক। দিপাবলীতে রাজধানীর দূষণের সঙ্গে সমানে টক্কর তিলোত্তমার। যাদবপুর থেকে কসবা, বাগবাজার থেকে শোভাবাজার, সর্বত্রই চলল শব্দবাজির তাণ্ডব। 

কালীপুজোর রাতে দেখা গেল দিল্লির আনন্দবিহার আর কলকাতার যাদবপুরের বাতাস একইরকম খারাপ। প্রতি ঘনমিটারে ধূলিকনা বা পিএম ২.৫-র সর্বোচ্চ পরিমাণ ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। মিলে গেল দিল্লির চাঁদনি চক আর কলকাতার ভিক্টোরিয়া চত্বর। সেখানেও  প্রতি ঘনমিটারে ধূলিকনার সর্বোচ্চ পরিমাণ দাঁড়াল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লির লোধী রোড আর কলকাতার বিধাননগরে দেখা গেল প্রায় সমান বিষ। লোধী রোডে যেখানে ধূলিকনার সর্বোচ্চ পরিমাণ দাঁড়াল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম সেখানে বিধাননগরে ৪৭০। অন্যদিকে দিল্লি এয়ারপোর্ট চত্বরেও ৫০০, সেখানে বালিগঞ্জে ৪৫০। 

চাপানউতোর চলছেই 

প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলছেন, “যদি সত্যি সত্যি রাজ্য সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আর পুলিশ সঠিকভাবে বিষয়টাকে ধরার চেষ্টা করত তাহলে অভিযানটা শুরু করতে হয় মে-জুন মাস থেকে। বাজি একবার তৈরি হয়ে গেলে তখন তো ঘরে ঘরে পুলিশ পাঠানো সম্ভব নয়।” 

তবে কালীপুজো রাতে যদিও শহর পরিদর্শনে বেড়িয়েছিলেন পর্ষদ কর্তারা। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্য়াণ রুদ্র যদিও বলছেন, “বাতাসের টানে যদি রাজ্যের বাইরে থেকে এখানে দূষণ ঢোকে তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। আর আমরা তো রাস্তায় গিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে পারব না। সেই আইনি ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই।” তবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা বলছেন দেশের অন্য মেট্রো শহরগুলির তুলনায় কলকাতায় দূষণ কম। তাঁর সাফ কথা, “শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ গত বছরের থেকে, এমনকি অন্যান্য মেট্রো শহরের থেকে কলকাতায় অনেকটাই কম আছে।”