Firhad Hakim: ‘ব্যাক ফ্লো করছে জল’, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও অসহয়তা বোঝালেন ফিরহাদ হাকিম
তবে, জল নিকাশিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুরকর্মীদের। মেয়র জানাচ্ছেন, পাম্প বসিয়ে যতই জল বের করার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে ব্যাকফ্লো করছে। অর্থাৎ জল আবার ফিরে আসছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে। তবে, যে পরিমাণ জল সব জায়গায় জমেছে, তাতে জল নামতে সময় লাগবে দাবি পুরকর্মীদের একাংশের।

কলকাতা: এক রাতের বৃষ্টিতে যেন ৭৮ সালের বন্যা কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এমন বৃষ্টি জীবনে দেখিনি। বিপর্যস্ত কলকাতা-সহ অন্যান্য শহরতলি। মৃত্যুফাঁদ হয়ে পড়েছে কলকাতা। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই মুহূর্তে কেমন আছে কলকাতা? সাংবাদিক বৈঠক করে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মেয়র বলছেন, এটি একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি। এর আগে কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১৮০ মিলিমিটার। কিন্তু এ দিন বৃষ্টি হয় ৩০০ মিলিমিটারের বেশি। দেহরাদূন বা জম্মুতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির সঙ্গে তুলনা করলেন মেয়র। তবে, সকালের থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে বলে মেয়রের দাবি। এরজন্য পুরকর্মীদের ধন্যবাদ দেন মেয়র।
তবে, জল নিকাশিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুরকর্মীদের। মেয়র জানাচ্ছেন, পাম্প বসিয়ে যতই জল বের করার চেষ্টা হচ্ছে, তাতে ব্যাকফ্লো করছে। অর্থাৎ জল আবার ফিরে আসছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে। তবে, যে পরিমাণ জল সব জায়গায় জমেছে, তাতে জল নামতে সময় লাগবে দাবি পুরকর্মীদের একাংশের।
আট জনের মধ্যে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিমের সাফাই, “এর আগে ল্যাম্পপোস্টে হাত দিলে তড়িতাহিত হয়ে মৃত্যু হতে দেখেছি। এখন তো জল জমলে সেখানে জলেই বিদ্যুৎ হয়ে যাচ্ছে। এটা নতুন সিচুয়েশন। নতুন সিচুয়েশন ফেস করতে হবে। দোষ দেওয়ার বা দোষ নেওয়া নয়।”
পূর্বসূরি মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও এদিন একহাত নেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জলমগ্ন কলকাতার দুর্ভোগ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তার জবাবে এদিন তিনি বলেন, “কেইআইআইপির কাজ বিকাশ ভট্টাচার্যের সময় হয়নি। সমালোচনা করার সহজ, রাস্তায় নেমে কাজ করা কঠিন। আপনার সময় কলকাতা শহর কী ছিল আর এখন কী হয়েছে সেটা সবাই জানে। আপনার সময় জল জমতো না? তখন জলের ক্রাইসিস ছিল না? এগুলো বোকা বোকা। আমরা সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি।”
