AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Municipal Corporation Election 2021: ‘পুরভোট বাতিলের দাবি’, আজ রাজ্য দফতর থেকে প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির

Kolkata Municipal Corporation Election 2021: সমস্ত রাজ্য পদাধিকারী ও রাজ্য কমিটি সদস্যদের এবং জেলা সভাপতিরা এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন।

Kolkata Municipal Corporation Election 2021: 'পুরভোট বাতিলের দাবি', আজ রাজ্য দফতর থেকে প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির
পুরভোট বাতিলের দাবিতে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 11:01 AM
Share

কলকাতা: শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ। রবিবার দিনভর উত্তপ্ত থাকল কলকাতা। বেলা গড়াতেই পথে নামেন বিরোধীরা। চলে বিক্ষোভ-অবরোধ। দেখা যায় বেনজির বিরোধী ঐক্যও। বড়তলা থানার সামনে একসঙ্গে বসে পড়ল বাম-কংগ্রেস-বিজেপিও। সোমবারও প্রতিবাদে সামিল বিজেপি। আজ, সোমবার বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হবে। সমস্ত রাজ্য পদাধিকারী ও রাজ্য কমিটি সদস্যদের এবং জেলা সভাপতিরা এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন।

এদিন বেলা দুটোয় বের হবে প্রতিবাদ মিছিল। ‘অন্যায়ভাবে’ নির্বাচনের প্রতিবাদে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হবেন তাঁরা। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি করা হচ্ছে অন্য। কোথাও ভোটে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। কোনও বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি। বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে জানায় কমিশন। পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, দাবি কমিশনের।

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে বিরোধীদের দরবার সত্ত্বেও পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা কম। বিজেপি ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ফের ভোট চেয়েছে। বাম ও কংগ্রেসও পুনর্নির্বাচন চেয়েছে একগুচ্ছ ওয়ার্ডে। সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সূত্রের খবর, কোনও ওয়ার্ডেই সম্ভবত ফের ভোট নেওয়া হবে না। কমিশনের বক্তব্য, বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া পুরভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ৪৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯৫ জনকে। বোমাবাজি হয়েছে দুই জায়গায়। সিসিটিভি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। তাদের বক্তব্য, কোথাও সিসিটিভি অচল ছিল না।

শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে প্রথমে রাস্তায় বসে পড়েন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর বড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভে যোগ দেয় বিজেপিও। ৯৬, ১০১, ১০২, ১১০ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ। বাঘাযতীন মোড়ে অবরোধ করেন বামেরা। বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।

৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাম প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খিদিরপুরে রাস্তায় বসে পড়েন কর্মীরা। ভোটে অনিয়মের অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের কর্মীরা। তাঁদের আটক করে পুলিশ।

শহরে প্রায় সর্বত্র গাজোয়ারি, এজেন্ট বসতে না দেওয়া, মারধর, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। মানছে না শাসকশিবির। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “পুনর্নির্বাচনের প্রথম থেকেই দরকার হবে না, সেই মতোই নির্ঘণ্ট তৈরি হয়েছিল। গতকাল নির্বাচন হয়েছে। আগামিকাল ফল ঘোষণা। রাত পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে। পুনর্নির্বাচন হবেটা কবে? নির্ঘণ্ট দেখেই বোঝা গিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নির্দেশ মেনে পুনর্নির্বাচনের সময় রাখেনি। ইভিএম ভাঙা, মাটিতে পড়েছিল। সব বুথ ছে়ড়ে দিলেও, ওই বুথটাকেই যদি ধরি, তাহলে ওই বুথের গণনা কীভাবে হবে? সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য কী থাকবে?”

জয়প্রকাশ মজুমদার স্পষ্ট আদালতে যাওয়ারও আভাস দিয়ে রাখলেন। তিনি বলেন, “পুরভোটটাকেই বাতিলের দাবি করেছি। ২৩ তারিখে হাইকোর্টে আমরা গোটা বিষয়টি জানাব। হাইকোর্ট প্রত্যেকটি বুথে সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা ৬ হাজার বুথের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক অডিট চাইব। তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য আর টিকবে না।”

আরও পড়ুন: Jago Bangla: ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ’ ভোটে জোরাল ‘রামধনু জোটে’র তত্ত্ব!