Road Accident: রাতের কলকাতায় ফিরল গন্ধ বিচার! আবারও ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার শুরু

Kolkata Police: ২০১৬-য় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্পের সূচনার পর থেকে কলকাতা পুলিশের নজরদারি বেড়েছে অনেক বেশি।

Road Accident: রাতের কলকাতায় ফিরল গন্ধ বিচার! আবারও ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার শুরু
রাতের পার্ক স্ট্রিটে চলছে নাকা তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2021 | 12:04 PM

কলকাতা: দীর্ঘদিন পর পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ফিরল ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার। করোনা কালে বন্ধ ছিল এই যন্ত্রের ব্যবহার। তবে ধীরে ধীরে আবারও শহর কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যই যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে, তখন শহরের নাকাচেকিংয়ে ফিরল ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহারও।

মদ্যপান করে কেউ গাড়ি চালাচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। রক্তে অ্যালকোহলের শতকরা পরিমাণ মাপা হয় এই যন্ত্রের সাহায্যে। ধরা পড়লে বড় অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হয়। শুক্রবার রাতেও তার ব্যতীক্রম হল না। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, লাউডন স্ট্রিট, গড়িয়াহাট, পাটুলি, ইএমবাইপাস-সহ শহরজুড়ে চলছে নাকা চেকিং ও ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা।

রাতের কলকাতায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। সে কারণেই এই যন্ত্রের মূলত ব্যবহার করা হয়। তবে কোভিডের কারণে ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার বছর পার করে বন্ধ ছিল। সপ্তাহখানেক হল এর ব্যবহার শুরু করেছে পুলিশ।

এনসিআরবির সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, কলকাতা শহরে দুর্ঘটনার বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণই হল মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো। ইদানিং শহরে প্রায়শই দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া যায়। নাইট কার্ফু চলা সত্ত্বেও তার মধ্যে একাধিক দুর্ঘটনার খবর আসে। এরপরই পুলিশও ফের ‘পুরনো ফর্মে’ ফিরতে মরিয়া। দুর্ঘটনা ঠেকাতে আবারও চালু করেছে ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার।

২০১৬-য় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্পের সূচনার পর থেকে কলকাতা পুলিশের নজরদারি বেড়েছে অনেক বেশি। রাতের কলকাতায় বছরভর লাগাতার নাকা-তল্লাশি এবং পথসচেতনতার প্রচার-কর্মসূচিতে আশাতীত ফলও মিলেছে। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি ঠিকই, কিন্তু আইন ভাঙার সার্বিক প্রবণতা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমেছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।

শহরে পথদুর্ঘটনা কমাতে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের উপর কড়া নজরদারি, অতিরিক্ত গতির জন্য সম্ভাব্য দুর্ঘটনা কমাতে সিসিটিভি এবং স্পিড ক্যামেরা দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট রাস্তায় ২৪x৭ প্রযুক্তি-পাহারা, সিগন্যাল-ব্যবস্থার যথাসাধ্য আধুনিকীকরণ, দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়া বাস-অটো-ট্যাক্সির চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং এবং অবশ্যই পথসচেতনতা নিয়ে তিনশো পঁয়ষট্টি দিনের বিরামহীন প্রচার। ফল মিলেছে পরিশ্রমের। তবে আত্মসন্তুষ্টির অবকাশ নেই তাদের।

আরও পড়ুন: মাঝ রাতে কে যেন নামল হলুদ ট্যাক্সি থেকে, শাবল দিয়ে তুলে নিল ম্যানহোলের ঢাকনা! তারপর…