AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

R G Kar Hospital: হাসপাতাল থেকে ছুট অধ্যক্ষের, পিছু পিছু দৌঁড়ালেন হবু ডাক্তাররাও! আরজিকর হাসপাতালে বেনজির ঘটনা

R G Kar Hospital: বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে রাত থেকেই অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। ভোরবেলায় ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অধ্যক্ষ।

R G Kar Hospital: হাসপাতাল থেকে ছুট অধ্যক্ষের, পিছু পিছু দৌঁড়ালেন হবু ডাক্তাররাও! আরজিকর হাসপাতালে বেনজির ঘটনা
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2021 | 12:20 PM
Share

কলকাতা: উর্ধ্বশ্বাসে হাঁটছেন অধ্যক্ষ। পিছনে স্লোগান দিতে দিতে দৌঁড়াচ্ছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। আন্দোলনরত ছাত্রদের থেকে বাঁচতে রাজা বীরেন্দ্র স্ট্রিটে ঢুকে পড়েন অধ্যক্ষ। পড়ুয়ারা পৌঁছে যান সেখানেও। অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ড। শনিবার রাতে প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে টানাপোড়েন। নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল আরজি কর হাসপাতাল (R G Kar Hospital) চত্বর। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে রাত থেকেই অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। ভোরবেলায় ওই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অধ্যক্ষ। তাঁর পিছন পিছন চলতে থাকেন পড়ুয়ারাও। পরে পুলিশের গাড়িতে উঠে যান অধ্যক্ষ। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা বলতে থাকেন, “পুলিশ কাকে তুলছে গাড়িতে? আরজিকরের প্রিন্সিপ্যালকে।” গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। পরে গাড়ি চালিয়ে পাশ দিয়ে চলে যায় পুলিশ।

পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, শনিবার আন্দোলনের সময়ই অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। এই তথ্যের সত্যতা প্রকাশ করতে একটি ভিডিয়ো সামনে আনেন পড়ুয়ারা। শনিবার তা নিয়ে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর।

শনিবার রাতে হাসপাতালে নিজের ঘরে ছিলেন অধ্যক্ষ। রাতপর থেকে নাটকীয়ভাবে শুরু হয় আন্দোলন। একাধিক দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে অগস্ট মাসেও একবার অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছিল ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সেই সময় কোনও মতে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা পড়লেও সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভ হাসপাতালে শুরু হয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত পোস্টার দেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পড়া সেই পোস্টারগুলি খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন এমএসভিপি।

উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও ঘেরাও করা হয়েছিল সেবার। এমনকি, সুপারকে তালা বন্ধ করে রেখে দেওয়া বলেও খবর আসে। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ সুপার বা অধ্যক্ষের কোনও বয়ান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, এর আগে উদ্ভুত পরিস্থিতির জেরে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য ছিল, এম‌এসভিপি তাঁদের কথা না শুনে নিজেকে তালাবন্দি করে রাখেন। উল্টোদিকে ছাত্ররাও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে ঘরের বাইরে বসে পড়েন। চিকিৎসক পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাচ্ছেন।

১২ দফা দাবিতে চলা আন্দোলনে হস্টেল সমস্যার বিষয় যেমন রয়েছে, তেমন‌ই আছে চিকিৎসক পড়ুয়াদের হেপাটাইটিস বি টিকাকরণ না হ‌ওয়া, কলেজ চত্বরে ছাত্র-ছাত্রীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি হস্টেল কমিটি গঠন নিয়ে চিকিৎসক পড়ুয়াদের অসন্তোষ রয়েছে।

আরও পড়ুন: Weather Update: ঝিরঝিরে বৃষ্টি চতুর্থীতে, পুজোর কোন দিন থেকে শুরু নিম্নচাপের আসল খেলা?

আরও পড়ুন: Kolkata: এক প্রান্তে পড়ে রইল দেহ, উল্টো ফুটে ছিটকে গেল যুবকের মাথা! চতুর্থীর রাতে চিংড়িহাটায় ভয়ানক ঘটনা