মিলেছে সদস্য পদের রসিদ, সনাতন মামলায় এবার বিজেপিকে চিঠি লালবাজারের
Sanatan Roy Chowdhury: পাশাপাশি সনাতনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁর নামে কতগুলি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কার কার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার খোঁজ করা হচ্ছে।
কলকাতা: এবার সনাতন (Sanatan Roy Chowdhury) মামলায় বিজেপিকে (Bengal BJP) চিঠি দিতে চলেছে লালবাজার (Lalbazaar)। ভুয়ো আধিকারিক সনাতনের রায় চৌধুরীর কাছ থেকে বিজেপির সদস্য পদের রসিদ মিলেছে। কবে সদস্য পদ নেন, কার মাধ্যমে নেন, কোনও পদ ছিল কিনা তা জানতে চাওয়া হবে।
পাশাপাশি সনাতনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁর নামে কতগুলি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কার কার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার খোঁজ করা হচ্ছে। কত মানুষকে কত দিন ধরে প্রতারণা করেছিলেন সনাতন রায় চৌধুরী? ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার পিছনে উদ্দেশ্যই বা কী ছিল? এ সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। গ্রেফতারির পর সনাতনের বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও সংস্থার নথি। তার ভিত্তিতেই বেশ কয়েকটি দফতরকে চিঠি দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সনাতনের আয়ের উৎস জানারও চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
সামনে আসছে প্রতারক সনাতন রায় চৌধুরীর একের পর এক কীর্তি। অমরনাথ মেহেতা নামে যে প্রমোটারের কথা বলে ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে জমি হাতানোর চেষ্টা করেছিলেন সনাতন, সেই প্রোমোটারেরই খোঁজ মিলছে না। ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের ওই বাসিন্দাকে সনাতন বলেছিলেন, ৬/১ রেড ক্রস প্লেসে অমরনাথ মেহেতার অফিস রয়েছে। কিন্তু সেই ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনও অফিসই নেই। সেখানে রাজভবনের কর্মীদের আবাসন রয়েছে।
সনাতনের কেস যত ঘাঁটছেন তদন্তকারীরা, তাঁদের যেন মনে হতে শুরু করেছে দেবাঞ্জনকেও ছাপিয়ে যেতে পারে এই প্রতারকের কীর্তি। সনাতনও একাধিকবার ভুয়ো পরচিয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করতে গিয়েই।
৮ ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের মালিক পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ২৭ জুন তিনি একদিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, পরিবার সূত্রে পাওয়া ওই সম্পত্তির অন্দরে থাকা অফিসে জাঁকিয়ে বসে রয়েছেন ধৃত সনাতন রায়চৌধুরী। তিনি নিজেকে ‘ডক্টর’ বলেও পরিচয় দেন। সম্পত্তির মালিককে সনাতন জানান, হাইকোর্টের অর্ডার পেয়ে এই সম্পত্তি তিনি দখল করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজভবনের কর্মীদের আবাসনের ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণা! প্রকাশ্যে সনাতনের আরেক কীর্তি
অভিযোগপত্রে জমির মালিক, অমরনাথ মেহেতা নামে এক প্রোমোটারের নাম উল্লেখ করেছেন। এবং তাঁর বাসস্থান হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ৬/১ রেড ক্রস প্লেস। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আদতে রাজভবনের কর্মীদের আবাসন সেটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অমরনাথ মাহাতো নামে এক ব্যক্তি সেখানে বহু বছর আগে থাকতেন। তিনি আবাসন ছেড়ে চলে গিয়েছেন দীর্ঘদিন। এবার সেই ব্যক্তিকেই অমরনাথ মেহেতা বলে সনাতন পরিচয় দিয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।