মানভঞ্জনের পরই ‘পুরস্কৃত’, তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে পেলেন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন শতাব্দী

শতাব্দী রায় ছাড়াও মালদার মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বালুরঘাটের শঙ্কর চক্রবর্তীকেও স্টেট ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে।

মানভঞ্জনের পরই 'পুরস্কৃত', তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে পেলেন গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন শতাব্দী
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2021 | 3:22 PM

কলকাতা: ৪৮ ঘণ্টা আগেও তৃণমূলে ‘তাঁর’ বিদায় পাকা খবর বলেই ধরে নিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মাঝে ঘটে যায় টুইস্ট। নেত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা, দিল্লি না যাওয়া, তৃণমূল নেতৃত্বের তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ, নিজের ফ্যান ক্লাব থেকে আরেকটি ফেসবুক পোস্ট আর তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের ভূয়সী প্রশংসা- ঘটনাবলী ইঙ্গিত দিতে থাকে অন্য। দুদিন আগেই যিনি দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, সেই শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) এবার ‘পুরস্কৃত’ হলেন দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেই। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি করা হল শতাব্দী রায়কে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হল শতাব্দীর মানিয়ে নেওয়ার গিফট! শতাব্দী রায় ছাড়াও মালদার মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বালুরঘাটের শঙ্কর চক্রবর্তীকেও স্টেট ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে।

দিন তিনেক আগেই ফেসবুকে তাঁর ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন শতাব্দী। সংবাদমাধ্যমের কাছে শতাব্দী জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তারপরই তাঁর দলত্যাগ ও বিজেপি যোগ নিয়ে শুরু হয় বিস্তর জরঘোলা। ময়দানে নেমে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সৌগত রায় থেকে শুরু করে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এমনকি তাঁর বাড়িতে যান কুণাল ঘোষও।

আরও পড়ুন: বেরল না রফাসূত্র, বাম কংগ্রেসের আসন সমঝোতার বৈঠকে মেজাজ হারালেন অধীর

ফের আচমকাই পট পরিবর্তন। সুর বদলে শতাব্দী বলতে শুরু করেন, “আমি তৃণমূলেই থাকছি. আমি তো কখনও বলিনি বিজেপিতে যাচ্ছি।” এরপরই শতাব্দী রায়ের ফ্যান ক্লাব থেকে আরও একটি ফেসবুক লাইভ করা হয়। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। শতাব্দীর কথায়, ‘‌আগে যখন নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম তখন তা সমাধান হয়নি। কিন্তু এখন হল।’‌

রবিবার বোলপুরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান শতাব্দী রায়। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি খুশি। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, যে তাঁরা আমাকে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। আমাকে শুধু অভিনেত্রী বা স্টার হিসাবে গণ্য করেননি, সেইভাবেই ব্যবহার করার কথা ভাবছেন। আমি কর্মী হিসাবেই কাজ করতে চাই।”

বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “রাজ্য যা ভাল বুঝেছে, তাই করেছে। এটা রাজ্যের ব্যাপার। আমার সঙ্গে কারোর কোনও ঝগড়া নেই। আমার কোনও গোষ্ঠী নেই।”