রাজ্যর যুক্তিতে কতটা গুরুত্ব? নজরে আজ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রায়
Kolkata: মানবাধিকার কমিশনের তৈরি রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
কলকাতা: আজ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post Poll Violence Case) রায়। সকাল ১১টায় রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার রায় দেবে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। গত ৩ অগস্ট মামলার শুনানি শেষ হয়। রাজ্যের যুক্তিতে কতটা গুরুত্ব? কার পক্ষে যাবে আদালতের রায়? সেদিকেই তাকিয়ে বাংলা।
এই মামলায় প্রথম থেকেই বিজেপি অভিযোগ করে এসেছে, পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছে না। হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানিতে সে কথা বারবার উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় কর্মীদের ওপর তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছিল। শুনানির সময়ে হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়তে হয় রাজ্য প্রশাসন ও সরকারকে।
রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটি। তবে এর পিছনেও বিজেপির ইন্ধনের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিতে প্রস্তুত কেন্দ্রের তরফে তা স্পষ্ট করা হয়।
কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের তৈরি রিপোর্টে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অন্তর্বতী রায় দেয় হাইকোর্ট। সেই রায়ে বলা হয়, অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্যের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের ওই অন্তবর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।
রাজ্যের তরফে দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে সব রকমের সহযোগিতা করেছে প্রশাসন। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে। সেই সব অভিযোগ এক জায়গায় করে রিপোর্ট তৈরি করেছে মানবাধিকার কমিশন।
রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিঙ্ভি বলেন, “আমরা এই কমিটির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। বোঝাই যাচ্ছে এরা পক্ষপাতদুষ্ট। যদি একজন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাহলেই রিপোর্ট খারিজ করে দেওয়া উচিত।”
আদালত কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন তোলেন, “আদালতের সামনে যে রিপোর্ট পেশ হয়েছে, সেখানে অভিযোগ রয়েছে।” রাজ্যের হাত থেকে নিয়ে এই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে দেওয়ার এটা উপযুক্ত সময় কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এরপরই এই মামলার শুনানি শেষ হয়। যদিও রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সেই মামলারই রায়দান আজ। আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েতে কাজের জন্য মহিলারা এলেই নজর পড়ে ওঁর….’ নিজের দলেরই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক