AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সিইউ ক্যাম্পাসে ‘টুম্পা সোনা’ গান! সংস্কৃতির পরিপন্থী বলছেন উপাচার্য, অন্যায় দেখছে না তৃণমূল

উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "তদন্ত করা হবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিবিরোধী। সরস্বতী পুজোর অনুমতি ছিল না। পুজোর টাকা এল কীভাবে? সবই খতিয়ে দেখা হবে।"

সিইউ ক্যাম্পাসে 'টুম্পা সোনা' গান! সংস্কৃতির পরিপন্থী বলছেন উপাচার্য, অন্যায় দেখছে না তৃণমূল
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Feb 17, 2021 | 3:37 PM
Share

কলকাতা: ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘টুম্পা সোনা’ গান। আর কোমর দুলিয়ে নাচছেন পড়ুয়ারা। সরস্বতী পুজোয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University)) ধরা পড়ল এক অন্য চিত্র। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারে সরস্বতী পুজোয় থিম ছিল ‘খেলা হবে’। অর্থাৎ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সেই হিট ডায়লগ। গানে তালে ছাত্রছাত্রীদের উত্তাল নাম। গতকালের এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এটা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।

এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “তদন্ত করা হবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিবিরোধী। সরস্বতী পুজোর অনুমতি ছিল না। পুজোর টাকা এল কীভাবে? সবই খতিয়ে দেখা হবে।”

শিক্ষাবিদ তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী পবিত্র সরকার বলেন, “এটা একেবারে উচিত না। কারা করছে তাদের থেকে এর বেশি কিছু প্রত্যাশা করা যায় কিনা সেটা দেখতে হবে। গত কয়েক বছরে নিয়মিত হয়ে আসছে এই ধরনের ঘটনা। কষ্ট পেয়েছি, তবে বিস্মিত নই। আমাদের সময় পুজো হত না তবে কেউ তো করতই। আনন্দ করার ধরনটা অনেক দিন বদলে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: খেতে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নব কলেবরে সেজে উঠছে কাঁটাতার পেরিয়ে আসা বিশ্বাস-বাড়ি

তবে এ সবের পিছনে কোনও অন্যায় দেখছে না তৃণমূল। ছাত্র পরিষদের সদস্য রাজা মেহেদি বলেন. “সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এক বছর পর একটু আনন্দ করেছে। এর মধ্যে কোনও অন্যায় আছে বলে মনে করছি না। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা পুজো করেছে। তাদের ইউনিটের তরফে সহায়তা করা হয়েছে।” পুজো করার অনুমতি ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রী সরস্বতী পুজোর অনুমতি দিয়েছিলেন।”