Kunal Ghosh: ‘শতাব্দী কোনও অভিযোগ করেননি’, অনুব্রত-মামলার চার্জশিটে সাক্ষী ইস্যুতে মন্তব্য কুণালের

Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের বক্তব্য, শতাব্দী রায় নির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগ করেননি। চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে তৃণমূল সাংসদের নাম থাকার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

Kunal Ghosh: 'শতাব্দী কোনও অভিযোগ করেননি', অনুব্রত-মামলার চার্জশিটে সাক্ষী ইস্যুতে মন্তব্য কুণালের
কী বললেন কুণাল ঘোষ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2022 | 8:51 PM

কলকাতা: তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলায় সম্প্রতি চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। সেখানে সাক্ষীর তালিকায় নাম রাখা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তর্জা। এবার তার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, শতাব্দী রায় নির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগ করেননি। চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে তৃণমূল সাংসদের নাম থাকার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

কুণাল ঘোষ সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন,”একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী সংস্থা অনেকেরই নাম দিতে পারে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। তদন্তের বিষয়। এটি নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি শুধু এটি বলতে পারি, শতাব্দী রায় এখানে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ করে কোনও সাক্ষ্য দেননি। তাঁর যে টেলিফোন নম্বরটি তাঁর সহকারির কাছে থাকে, সেটি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করা হয়েছিল কি না, বা কথা হয়েছিল কি না… এমন কিছু জিজ্ঞেস করেছিলেন তদন্তকারীরা। এটা তো হতেই পারে। শতাব্দীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোনও অভিযোগ তিনি তাঁর তরফ থেকে করেননি।”

উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাই বলতে পারবে। আমরা চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক এবং এই লুকোচুরি খেলা বন্ধ হোক।” প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে শতাব্দী রায়ের নাম থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা নেতৃত্বেরও সাফ বক্তব্য, যে কাউকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হতে পারে। বরং এই সবের মাধ্যমে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তৃণমূল জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, অতীতে একবার কারও নাম না করে শতাব্দী সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছিলেন, অনেক কর্মসূচির খবর নাকি তাঁকে দেওয়া হয় না। সেই নিয়েও জোর চর্চা চলেছিল অতীতে।