
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর (SIR) ইস্যু নিয়ে প্রথম থেকেই সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে নিশানা করছে। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর ইস্যু নিয়ে পাল্টা রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যথারীতি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখিয়ে তিনি বোঝালেন, SIR ইস্যুতে তৃণমূলের ‘মাথাব্যথার’ কারণ কী। একইসঙ্গে একাংশ বিএলও-কেও নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চারটি বিষয় তুলে ধরেন শুভেন্দু। তিনি অভিযোগ করেন, মৃত ও অবৈধ ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখতেই এত এসআইআরের বিরোধিতা। মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, মৃত ভোটার, একই বুথে ডবল ভোট এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভোট। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে সীমান্ত দিয়ে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের’ পালিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো দেখান শুভেন্দু। তারপরই তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের যন্ত্রণা ও ভেঙে পড়ার কারণ পরিষ্কার। এর কারণ মৃত ভোটার। সকালের পোশাক বদলে বিকেলে ভোট দেওয়া হয়।”
বাংলায় এসআইআর শুরুর পর থেকে শুভেন্দু দাবি করে আসছেন, এক কোটি নাম বাদ যাবে। তার মধ্যে মৃত ভোটার, মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, অনুপ্রবেশকারী রয়েছে জানিয়ে তিনি এদিনও বলেন, “২০০২ সালে বাদ গিয়েছিল ২৬ লক্ষ। এবার আরও বেশি নাম বাদ যাবে। আর বেশি নাম বাদ যেত যদি রাজ্য সরকার সাহায্য করত। এবার ৮০ শতাংশ এসআইআর সফল হবে।”
এদিন ফের ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা দেন তিনি। বলেন, “বিহারে অনেক রাষ্ট্রবাদী মুসলিম এনডিএ-কে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন। এখানেও আমরা রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের কাছে আবেদন করেছি। গরিষ্ঠ সংখ্যক ভারতীয় মুসলমানরা আমাদের ভোট না দিলেও আমরা বারবার বলেছি, এসআইআর নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও চিন্তা নেই।”
বিভিন্ন জায়গায় বিএলও-দের বিরুদ্ধে ফর্ম না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে বিএলও-দের সতর্ক করলেন শুভেন্দু। জানালেন, অভিযুক্ত বিএলও-দের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। কমিশন যাতে ওইসব বিএলও-দের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করে, সেই দাবি জানাবেন। একাংশ বিডিও-র সঙ্গে আইপ্যাকের টিম প্রতিদিন দুপুরে বৈঠক করছেন বলেও অভিয়োগ করেন তিনি।
এদিন চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস দেখা করতে এসেছিলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। এসএসসি-র একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউয়ে ফ্রেশাররা ডাক পাননি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেবেন না, এটা স্পষ্ট। যারা ফ্রেশার, তাদের ফর্ম ফিলাপের টাকা ফেরত দিতে হবে।”