Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশ’, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবিতে জোরদার সওয়াল শুভেন্দুর

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Jul 01, 2024 | 11:37 PM

Suvendu Adhikari: রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবিতে সরব শুভেন্দু। রাজ্যপাল যাতে কেন্দ্রের কাছে বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির জন্য সুপারিশ করেন, সে বিষয়ে বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের কাছে তিনি অনুরোধ করবেন বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, রাজ্যের হাত থেকে পুলিশের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হোক।

Suvendu Adhikari: রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশ, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবিতে জোরদার সওয়াল শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবিতে সরব শুভেন্দু। রাজ্যপাল যাতে কেন্দ্রের কাছে বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির জন্য সুপারিশ করেন, সে বিষয়ে বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের কাছে তিনি অনুরোধ করবেন বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, রাজ্যের হাত থেকে পুলিশের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হোক। সোমবার সন্ধেয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যপালকে বলব, আগামিকাল ফিরে এসে যেন তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য।”

বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা যেমন আছে, আগামী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত তেমনই থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশি ব্যবস্থার যে দায়িত্ব রাজ্যের হাতে রয়েছে, সেটা যেন কেড়ে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে ভোটে জিতেছেন। ২০২৬ সালে আবার ভোট আছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেওয়া হোক। তাঁর অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায় হাত দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে পুলিশি ব্যবস্থা কেড়ে নেওয়া হোক। এবার সময় এসে গিয়েছে। ৩৫৫ ধারার সুপারিশ করে, মণিপুরের মতো উপদ্রুত ঘোষণা করে, সমস্ত থানাগুলিকে নিয়ে নেওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার পরামর্শদাতা নিয়োগ করে দেওয়া উচিত।”

উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও দিল্লি থেকে এক ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘বাংলার রাস্তায় রক্তস্নান চলছে। বাংলার গ্রাম-গঞ্জে রাস্তায় মরণ নাচন চলছে।’ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল বোস। পাল্টা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন আবার রাজ্যপালকে ‘বিজেপির তল্পিবাহক’ বলে চরম কটাক্ষ করেছেন।

Next Article