CPIM Brigade: ‘খুব কষ্ট হচ্ছে, তাই…’ ব্রিগেডে সবুজের আশ্রয়ে লালেরা!
CPIM Brigade: অনেকেই বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন একেবারে কাকভোরে। বেলায় হওড়ায় এসে পৌঁছালেও ফেরি বন্ধ থাকায় আবার বেশ খানিকটা বিপাকেও পড়তে হয়। পায়ে হেঁটেই ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অনেকে।

কলকাতা: রুটিরুজি বাঁচাতে ক্ষেতমজুর-দিনমজুরদের প্রথম আশ্রয় লাল পতাকা। লাল পতাকা কাঁধে নিয়েই হকের দাবি গর্জে উঠছেন ব্রিগেডে। কেউ আসছেন সুদূর আসানসোল, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে, তো কেউ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে। এদিকে বিগত কয়েকদিন জেলায় জেলায় বৃষ্টির ছবি দেখা গিয়েছে। মুখভার ছিল আকাশের। মেঘলা আকাশে রোদের দাপট সেই অর্থে না দেখে গেলেও রবিবার সকাল থেকেই ফের ফিরল চেনা ছবিটা। বেলা বাড়তেই শুরু রোদের দাপট। তাতেই নাভিশ্বাস উঠছে ব্রিগেডে আসা বাম কর্মীদের। গরমে প্রখর রোদে সভা শুরুর আগে লাল পতাকা কাঁধে তাঁদের দ্বিতীয় আশ্রয় ময়দান সংলগ্ন গাছের ছায়া। সভা শুরুর আগে গরম থেকে বাঁচতে সবুজের নিচে লাল।
ব্রিগেডে ফোর্ট উইলিয়মের দিকে রয়েছে প্রচুর গাছ। সভা শুরুর অনেক আগে যারা ব্রিগেডে এসে পৌঁছেছেন তাদের অনেকেই এই গরমে মূল মঞ্চের সামনে যেতে পারছেন না। অনেকেই বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন একেবারে কাকভোরে। বেলায় হওড়ায় এসে পৌঁছালেও ফেরি বন্ধ থাকায় আবার বেশ খানিকটা বিপাকেও পড়তে হয়। পায়ে হেঁটেই ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অনেকে।
চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। মাঠে পৌঁছে তাই গাছের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। গাছের ছায়ায় বসেই শুনছেন গান। বলছেন, যতই রোদ থাকুক সভা শুরুর আগে ঠিক পৌঁছে যাবেন মঞ্চের সামনে। কেউ হাতপাখায় হাওয়া খাচ্ছেন। কেউবা ঘুমিয়েই পড়েছেন। তবে বলছেন, সভা শুরুর আগেই আসল জায়গায় ঠিক পৌঁছে যাবেন। গাছের নিচে বসেই একজন বললেন, “আমরা তো রোদের নিচেই বসব। আপাতত এখানে জিরিয়ে নিচ্ছি। সভা শুরু হলেই ওখানে চলে যাব।” এক মহিলা কর্মী সমর্থক বললেন, “ওখানে যাব সভা শুরু হলে। এখন খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই এখানে বসে আছি।” আর একজন বললেন, “এখানে এসে পৌঁছে দেখি খুব রোদ। গাছের নিচে বসে টিফিন করে তারপর মাঠে যাব।”
