Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইছেন না অনেকে, পিছনে কি নিয়োগ দুর্নীতিই বড় কারণ?
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, কলা বিভাগে উৎসাহ হারাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ব্যাপক হারে কমেছে যাদবপুরে কলা বিভাগে আবেদনের সংখ্যা। চাকরি নেই, কলা বিভাগে পড়ে ভবিষ্যত নিয়ে ধেঁয়াশা তাই আগ্রহ কম দাবি শিক্ষাবিদদের একাংশের।

কলকাতা: দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য তথা দেশের বহু পড়ুয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য মুখিয়ে থাকে। কিন্তু নামজাদা সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই কমছে আবেদন। যা ভাবাচ্ছে শিক্ষামহলকে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নিয়োগ দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ, বাংলায় চাকরি না থাকা অভিযোগের জন্যই মুখ ফেরাচ্ছেন পড়ুয়ারা?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, কলা বিভাগে উৎসাহ হারাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ব্যাপক হারে কমেছে যাদবপুরে কলা বিভাগে আবেদনের সংখ্যা। চাকরি নেই, কলা বিভাগে পড়ে ভবিষ্যত নিয়ে ধেঁয়াশা তাই আগ্রহ কম দাবি শিক্ষাবিদদের একাংশের। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও লড়ে উঠতে পারছে না যাদবপুর। এমন মতামতও দিচ্ছেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর,বাংলা বিভাগে ২০২৩ সালে আবেদন করেছিলেন ৫৩৭ জন। সেখানে এ বছর আবেদন করেছেন ৪০৬ জন। আবার ইংরেজি বিভাগে গত আবেদন করেছিলেন ৩,৫০০ জন। এ বছর আবেদন করেছেন ২,৪০৬ জন। সমাজবিদ্যা বিভাগে গত বছর আবেদন করেছিলেন ৭৮৫ জন। এ বছর আবেদনের সংখ্যা ৫১৪। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে গত বছর আবেদন ১,৬৮৭ জন। এ বছর আবেদন ১,২৯১ আবার ইতিহাস বিভাগে গত বছর আবেদন করেন ৮৭৪ জন। এ বছর আবেদন ৭৯৪ জন আবেদন করেছেন। তবে বিজ্ঞানে আবেদন বেড়েছে বলে খবর।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি বলেন, “আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চ-শিক্ষায় একের পর এক স্কলারশিপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনেক বেশি সুবিধা দিচ্ছে। ধীরে-ধীরে দেখা যাচ্ছে কলা বিভাগের মতো বিষয়গুলিতেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ পড়ুয়াদের বাড়ছে।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রাজেশ্বর সিনহা বলেন, “গত আট-দশ বছর ধরে এ রাজ্য স্কুল শিক্ষায় সরকারি নিয়োগ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কলেজগুলিতেও যে পরিমাণ আগে নিয়োগ হত তা এখন অত্যন্ত কমে গিয়েছে। একদিকে চাকরি নেই। অন্যদিকে চার বছরের কোর্স এই দুটোর কারণে পড়ুয়াদের মধ্যে প্রথাগত অনার্স পড়ার সংখ্যা কমছে।” জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতির কারণে স্কুলের চাকরি বন্ধ হয়েছে। এটা একটা বড় কারণ। তার উপর আবার চার বছরের কোর্স উৎসাহ হরাচ্ছে পড়ুয়ারা।”
