CM Mamata Banerjee: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাখি উৎসব পালনের দিনটি হোক পশ্চিমবঙ্গ দিবস, মমতাকে পরামর্শ নৃসিংহপ্রসাদের

CM Mamata Banerjee: এদিনের আলোচনা সভায় ডাকা হয় শিশু কিশোর একাডেমি, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমি, রাজ্য চারুকলা পর্ষদকেও। সেখানে ১ বৈশাখ সহ একাধিক তারিখ উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করার জন্য।

CM Mamata Banerjee: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাখি উৎসব পালনের দিনটি হোক পশ্চিমবঙ্গ দিবস, মমতাকে পরামর্শ নৃসিংহপ্রসাদের
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2023 | 6:12 PM

কলকাতা: কবে পালন করা হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস (West Bengal Day)? দিনক্ষণ ঠিক করতে টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদন থেকেই। বিতর্কের মধ্যেই কয়েকদিন আগে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। ২০ জুন রাজভবনে পালন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যদিও তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ দাবি ছিল, এইদিনে বাংলা ভাগ করা হয়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়া এই দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এটা ঠিক নয়। এটা অসাংবিধানিক। এই দিনের সঙ্গে বাংলাভাগের ক্ষত জড়িয়ে রয়েছে। সে কারণেই দিনক্ষণ ঠিক করতে ফের তৈরি করা হয় কমিটি। এরইমধ্যে এ বিষয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় নবান্নে। আমন্ত্রণ জানানো হয় নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুগত বসু, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আবুল বাশার, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, যোগেন চৌধুরী, জয় গোস্বামীর মতো ৯০ জন বিশিষ্টকে। ডাকা হয় শিশু কিশোর একাডেমি, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমি, রাজ্য চারুকলা পর্ষদকেও। সেখানে ১ বৈশাখ সহ একাধিক তারিখ উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করার জন্য।

  1. জয় গোস্বামী- ২০ জুন প্রতিষ্ঠা দিবস পালন নিয়ে মমতা যে আপত্তি করছেন সেটা একদম ঠিক। তিনি আমাদের যে পরামর্শ দেবেন তা মেনে চলতে আমি অন্তত প্রস্তুত। আমাদের এখানে সুগত বসুর মতো ইতিহাসবিদ রয়েছেন। তিনি আমাদের এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মমতা আমাদের ঠিক পথেই চালনা করবেন বলে মনে হয়।
  2. নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি- ২০ জুন এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল এটা কস্মিনকালেও শুনিনি। হঠাৎ করে যেটা হল এটার যদি কোনও প্রতিবাদ থাকে তাহলে সেটা এখান থেকে করছি। ১ বৈশাখের ব্যাপার নিয়ে, বঙ্গাব্দ নিয়ে এর আগে আমি বহু লেখা লিখেছি। এটা হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির একটা অন্যতম অঙ্গ হয়ে যায়। আকবর বা শশাঙ্ক, বঙ্গাব্দ চালুর ক্ষেত্রে যাদেরই কথা বলি না কেন সে সময় কিন্তু অখণ্ড বাংলার প্রসঙ্গই ছিল। বাংলা ভাষার সূত্রে আমরা বঙ্গ শব্দটা ব্যবহার করি। তাই দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ তৈরির ব্যাপারটা একটু দেখা দরকার। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গের কোনও বিখ্যাত মানুষ সেটা চৈতন্য হতে পারেন, রবীন্দ্রনাথ হতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর রাখির প্রচলন করেছিলেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটার সূচনা হয়েছিল। শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন তাঁর ওই রাখি সমস্ত বাংলাদেশ মেনে নিয়েছিল। ওপার বাংলা এবং এপার সব জায়গার মানুষই এটা মেনে নিয়েছিল। তাই সেই স্মৃতিতে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে রাখির দিনটাকে রাখা যেতে পারে বলে আমার মনে হয়। তাহলে ইতিহাস ও সেই সময়ের মানুষের বেঁধে বেঁধে থাকার স্মৃতিটাকেও ধরে রাখা যাবে।
  3. সুগত বসু- নৃসিংহদার কথা প্রসঙ্গে বলতে হয় রাখি বন্ধন কিন্তু রবীন্দ্রনাথ করেছিলেন ১৬ অক্টোবর। কারণ সেই দিন কার্জন সাহেব বঙ্গবঙ্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিবাদ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ রাখি বন্ধন করেছিলেন। তাই ১৬ অক্টোবর কার্জনের বঙ্গভঙ্গের দিন আবার রবীন্দ্রনাথের রাখি বন্ধনের দিন।
  4. অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা পয়লা বৈশাখের পক্ষে। 
  5. অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা- ২০ জুনের রক্তাক্ত ইতিহাস রয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দল আমাদের কথা কীভাবে বলছেন, তাঁদের মঞ্চ থেকে, তার দায় বা দায়িত্ব আমাদের নয়। কিন্তু আমরা অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা নিজেদের প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বলে বিশ্বাস করি।
  6. মমতা- হিন্দু মহাসভা নামে অন্য রকম ধারণা ছিল। আপনি যে কথা বললেন। আপনি যদি বাংলার উন্নয়নে আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা আগামীদিনে আপনাদের পাশে পাব।
  7. কামতাপুরি ভাষা অ্যাকাডেমিও বলছে পয়বা বৈশাখ বাংলা দিবস হোক।
  8. ‘২০ জুন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। ওইদিন নাচ গান হল। কেন্দ্রের দল বিভেদ মূলক কাজকে উৎসাহ দিল। ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করার দিন ছিল। ওইদিন হোক।’ SUCI-র পক্ষ থেকে বললেন অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়।
  9. সিপিআইএমএল – ১৯৭০ সালের ২০ জুন বাংলার ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন। সেদিনের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির আধার ও আবহাওয়ায় হিন্দু মহাসভা, আরএসএসের নেতৃবৃন্দ ও অন্যদিকে মুসলিম লীগের প্রত্যক্ষ ভূমিকায় দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাভাগের সিদ্ধান্ত বিধানসভায় গৃহীত হয়।