
সোমবার আচমকা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধরনা শুরু করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানদের বদল করতে হবে, এই ইস্যুতেই ধরনা শুরু করেন তাঁরা। কমিশনের দফতরের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। টেনে-হিঁচড়ে তাঁদের বাসে তোলা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ঘটনার পরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডিরেক্টরকে চ্যালেঞ্জ করব। বিবৃতি দিয়ে ভাঁওতা দেবেন না। আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। আমি আপনাকে অ্যাকিউজ করছি। আমার মোবাইলে ছবি আছে। দেখাতে পারি। সঠিক সময়ে প্রকাশ করব। টাওয়াল লোকেশন ম্যাচ করলেই তো বোঝা যাবে: অভিষেক।
অভিষেক বলেন, “২০২১-এর থেকেও খারাপ পরিণতি হবে বিজেপির। আমরা ফুটেজ প্রকাশ করব। হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে ফুটেজ জমা দেব। আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারলে কর। ৫২ মিনিটের হাই কোয়ালিটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হাতে প্যাকেট নিয়ে ঢুকেছে আর খালি হাতে বেরিয়েছে। আমাদের হাতে তথ্য রয়েছে।”
কেন এনআইএ-র ডিরেক্টর বদল হবে না? কেন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেবে না? প্রশ্ন তুললেন অভিষেক। তিনি আরও জানিয়েছেন, এসপি এনআইএ-র বাড়ির ভিজিটার্স বুকের কপি সহ সব তথ্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিষেক বলেন, “এসপি এনআইএ’র বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ ছিল। জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক হয়েছে এসপি এনআইএ-র। আপনি তো অফিসে দেখা করবেন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেবেন, বাড়িতে কেন? আমরা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করব। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এসপি’র ঘরে জিতেন্দ্রকে একজন নিয়ে যাচ্ছেন। বেরনোর সময় নীচ পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছেন।” কেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে মিটিংয়ের পরে নোটিস পাঠাবে এনআইএ? প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। তিনি জানান, বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, তাঁদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।
মহিলা সাংসদদের যেভাবে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে আমি মনে করি দিনের আলোয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। দোলা সেনের পায়ে দু সপ্তাহ আগে অপারেশন হয়েছে। তিন বারের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাঁরা বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন: অভিষেক।
অভিষেককে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে রাজ্যপাল দেখা করার সময় দেন বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় সম্পাদক সহ মোট ১০ জনের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করছেন। অভিষেকের সঙ্গে এদিন রাজভবনে প্রবেশ করেছেন মালা রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অরূপ বিশ্বাস, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেন অভিষেক। গত বছর দিল্লিতে ধরনা দিতে গিয়ে কীভাবে আটক হতে হয়েছিল, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ২০২৩-এর অক্টোবরে কৃষি ভবনে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর আজ দিনের আলোয় গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।
In Oct 2023, DEMOCRACY was muzzled INSIDE Krishi Bhavan. Today, it was attacked OUTSIDE in broad daylight!
With each passing day, the BANGLA BIRODHI ZAMINDARS are growing VIOLENT & DESPERATE in their bid for power.
BENGAL WILL RESPOND FITTINGLY!@BJP4India GIRD YOUR LOINS! https://t.co/MuhELtA6iT
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 8, 2024