কলকাতা: একদিকে দাবদাহ, তার মধ্যে ভোট। তাও আবার সাত দফায়! ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু, ভোট শেষ ১ জুন। গোটা পর্বটাই চলবে তীব্র গরমে। নেতা-মন্ত্রী থেকে ভোটকর্মী, রেহাই নেই কারও। প্রার্থীদের তো ভোট চাইতে বেরোতেই হবে। এই গরমে সুস্থ থেকে ভোট প্রচারটাও তাঁদের কাছে নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ। প্রার্থীর বয়স যাই হোক না কেন, এ গরম কাবু যে সকলকেই করে। ভোটের যুদ্ধে নেতাদের তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রচুর জল খান, ফল খান।
কোচবিহারের ভোটপ্রচার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, “এমন সময় আমাদের ভোট হয়, রোদ-গরম বেশি থাকে। ঝড় হয়। পানীয় জলের সমস্যা থাকে বেশি।” আবহাওয়া যা খেলা দেখাচ্ছে তাতে নেতা-নেত্রীদের ভোগান্তি আগামী দেড় দু’মাসে আরও বাড়বে। মিটিং মিছিল, জনতার দরবারে ঘোরা, পদযাত্রা সবই করতে হবে মাথার উপর প্রখর রোদ নিয়েই।
সিপিএম দমদমে প্রার্থী করেছে সুজন চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, “খুবই গরম, গরম আরও বাড়ছে। এই গরমের মধ্যেই আমরা প্রচার করছি। এর সব থেকে বড় টোটকা মানুষ। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বেরোতেই হবে।” অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলছেন, “বেশি করে জল খান। ডাব খান। ডাবের দাম বেশি, নুন চিনি লেবু জল খান। আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক খাবেন না। ফ্রিজের জল নয়, এমনি জল খান।”
ভোট প্রচারে বেরিয়ে কিছুদিন আগেই হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রচুর ফল, জল খাচ্ছেন। চিকিৎসকরাও বলছেন, জল, ফল দুই-ই খুব দরকারি। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, “যাঁরা প্রার্থী তাঁরা এক হাতে হাত নাড়ুন, অন্য হাতে ফল খান। ছাতা নিয়ে বেরোন। অনেকে ষাটোর্ধ্বও আছেন। তাঁরা যেন হাঁটতে না যান। তাতে কিন্তু বিপদ আসতে পারে। গাড়িতে প্রচার করুন।”