Madan Mitra : ‘স্ত্রীকে পাঁচজন স্বামী ভাগ করে খেতে পারে’, মদনের মন্তব্যে সমালোচনায় মুখর কুণাল

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Updated on: Feb 01, 2023 | 12:05 AM

Madan Mitra : মদনের দাবি, তিনি খাবার ভাগ করে খেতেই পছন্দ করেন। তাঁর কথায়, “ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে।”

Madan Mitra : 'স্ত্রীকে পাঁচজন স্বামী ভাগ করে খেতে পারে', মদনের মন্তব্যে সমালোচনায় মুখর কুণাল

কলকাতা : বিতর্কে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (MLA Madan Mitra)। খাবার ভাগ করে খাওয়ার প্রসঙ্গে দ্রৌপদীর কথা বলে জড়ালেন বিতর্কে। এমনকী, তাঁর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করল শাসকদল। কামারহাটির তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের মন্তব্যের নিন্দা করেছে বিজেপিও (BJP)। দলের বিধায়কের মন্তব্যের নিন্দা করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal GHosh) বললেন, মহাকাব্যের বিভ্রান্তিকর তালজ্ঞানহীন ব্যাখ্যামুলক তুলনা কাম্য নয়। আর বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের কথায়, দলের সাইড লাইনে দলে যাওয়ায় এসব মন্তব্য করে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইছেন কামারহাটির বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। ঘুরছেন একাধিক স্কুলে। এরইমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্কুলে দেখা যায় পাঁচজনের জন্য বরাদ্দ খাবার খাচ্ছে ৭ জন পড়ুয়া। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক (Kamarhati MLA) বলেন, “দ্রৌপদীকে নিয়ে আসার পর কুন্তি বলেছিলেন যা এনেছ তোমরা পাঁচ ভাই ভাগ করে খাও। পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষের কালচার হচ্ছে স্ত্রীকেও পাঁচজন স্বামী ভাগ করে খেতে পারে। যদি পাঁচটা রুটি থেকে দুটো গরিব লোক খায় তাতে অসুবিধার কী আছে। তবে আমি নীতিগতভাবে বলব ৫ জনের খাবার কেন সাতজনকে দেবেন?” 

যদিও মদনের দাবি, তিনি খাবার ভাগ করে খেতেই পছন্দ করেন। কারণ, “ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে।” এ কথা শুনে মদনের নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বলেন, “ওনার কথা শুনলে কষ্টই হয়। দলের মধ্যে সাইড লাইনে চলে গিয়েছেন। তাই মাঝেমধ্যে এরকম গরম-গরম ডায়ালগ না ছাড়লে নিজেকে ভাসমান রাখবেন কী করে!”

এই খবরটিও পড়ুন

দলের বিধায়কের এ মন্তব্যে নিন্দায় সরব হয়েছেন খোদ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ। মদনের তীব্র সমালোচনা করে কুণাল লেখেন, “মিড ডে মিল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মদন মিত্র যা বলেছেন তার তীব্র নিন্দা করছি। শব্দচয়ন ও বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সকলেরই অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়া উচিত। মহাকাব্যের বিভ্রান্তিকর তালজ্ঞানহীন ব্যাখ্যামুলক তুলনা কাম্য নয়।”

সাম্প্রতিককালে মিড-ডে মিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মাঝে মাঝেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মিড-ডে মিলে মৃত সাপ, ব্যাঙ, টিকিটিকি উদ্ধার হওয়ার খবর সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে বাচ্চাদের এই খাবারের গুণমান নিয়ে। মঙ্গলবার, অন্যান্য একাধিক স্কুলের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রানিসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের একতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। কিন্তু, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় এক মাস যাবৎ মিড ডে মিলের কোনও রান্নাই হয়নি স্কুলে। সে কারণেই এদিন তাঁরা স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভও দেখান।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla