AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra: মুখশুদ্ধি চিবোতে চিবোতে ‘কালারফুল’ মদন বললেন ‘এখানে শীতলকুচিতে বরফ লাগবে না, এমনিই ঠান্ডা হয়ে যাবে…’

Bhabanipur By-Election: উপনির্বাচন নিয়ে কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মদনক মিত্রকে ভোট প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সঁপেছিলেন।

Madan Mitra: মুখশুদ্ধি চিবোতে চিবোতে 'কালারফুল' মদন বললেন 'এখানে শীতলকুচিতে বরফ লাগবে না, এমনিই ঠান্ডা হয়ে যাবে...'
ভবানীপুরে মদন মিত্র। ছবি ফেসবুক।
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 5:13 PM
Share

কলকাতা: সকাল থেকে তুমুল উত্তেজনা ভবানীপুরে (Bhabanipur By-Election)। বিজেপির ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে তুলকালাম বাধে সেখানে। কখনও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অর্জুন সিংকে। আবার কখনও দিলীপ ঘোষকে ঘেরাও করে শুরু হয় অশান্তি। যদিও দুপুর গড়ালে সে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপরই সেখানে গিয়ে পৌঁছন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। জিপে চেপে শেষবেলার প্রচারে নামেন ‘দাদা’। সেখানেই মদন-বাণ— ‘ভবানীপুরকে শীতলকুচি হতে দেব না। যারা চেষ্টা করবে ফালা ফালা হয়ে যাবে।’

উপনির্বাচন নিয়ে কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে মদনক মিত্রকে (Madan Mitra) ভোট প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সঁপেছিলেন। ‘দিদি’ বলেছিলেন, “পাড়াটা তুমিই দেখবে। ধুতি পাঞ্জাবি পরে ভোট প্রচার করবে। তবে বেশি আবার সাজুগুজু করবে না। আসলে মদন তো একটু কালারফুল ছেলে। তবে মাঝেমধ্যে বেশি কালারফুল হয়ে যায়। সেই সময় আবার একটু প্রবলেম হয়ে যায়।” এরপর ভবানীপুরে একেবারে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন ‘মদনদা’।

শেষবেলার প্রচারেও চমক রাখলেন। সিবিআইয়ের ডাকে দুপুর পর্যন্ত সিজিও কমপ্লেক্সেই তাঁর কেটেছে। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে মোটে সময় নষ্ট করেননি তিনি। ধোপধুরস্ত পাঞ্জাবি পায়জামা, চোখে রোদচশমা পরে, মুখশুদ্ধি চিবোতে চিবোতে প্রচার করেছেন। সেখানেই মদন মিত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কিছুক্ষণ আগে ভবানীপুরের যে অবস্থা ছিল, তা নিয়ে তিনি কী বলবেন।

একেবারে ভাবলেশহীন হয়ে মদন মিত্র জবাব দেন, “এখন তো কিছু বলার নেই। যা বলার ৩০ তারিখ মানুষ বলবেন। আর ভবানীপুরের মানুষ বুঝিয়ে দেবেন, জনাদেশ কী, গণতন্ত্র কাকে বলে। আর শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ কী বলল এর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেই আমি মনে করি না। তবে ভবানীপুরের মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কী সুন্দর শান্তি দেখুন। বাজার চলছে, দোকান খোলা। একটা শান্তিকামী জায়গা এটা। শান্তিপূর্ণ এলাকাকে অশান্ত করার জন্য এসব চেষ্টা। এর যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ৩০ তারিখ আমরা প্রস্তুত।”

কিন্তু বিজেপি যে বলছে, মদন মিত্রের দল ভয় পেয়েছে। ভোট পাবে না বলে গোলমাল করছে। এ প্রশ্ন উঠতেই একেবারে পুরনো ফর্মে ফিরে গেলেন মদন। গলা ভারী করে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, “ভবানীপুরকে কুচি করবে? শীতলকুচি করবে? ফালাকাটা করবে? এখানে ফালা ফালা করে কাটা হয়ে যাবে। এখানে শীতলকুচি মানে বরফ লাগবে না। এমনি ঠান্ডা হয়ে যাবে।”

এদিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ তোলেন, “ভোট তা হওয়া আদৌ সম্ভব কি না আমি সন্দিহান। সন্ধ্যাবেলায় আমাদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে। তারা কথা বলবে। একজন সর্বভারতীয় সহ সভাপতির উপর যদি এ ধরনের আক্রমণ হতে পারে, কোন সাধারণ মানুষটা সাহস করবেন ভোট দিতে যাওয়ার?” এ প্রসঙ্গে পাল্টা মদনের তোপ, “ওরাই তা হলে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। ওদের হাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। মানুষ নিজের দায়িত্বে ভোট দেবে, ওদের কিছুই করার নেই।”

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: দিলীপের উপর ‘হামলা’, কোথায় গেল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী! কী করছিল পুলিশ?