Dilip Ghosh: দিলীপের উপর ‘হামলা’, কোথায় গেল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী! কী করছিল পুলিশ?

Bhabanipur By-Election: আদৌ এই ভোট করানো যায় কি না তা নিয়ে সন্দিহান, বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

Dilip Ghosh: দিলীপের উপর 'হামলা', কোথায় গেল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী! কী করছিল পুলিশ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 2:54 PM

কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) শেষবেলার প্রচার ঘিরে তুলকালাম যদুবাবুর বাজার এলাকা। সোমবার ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। একদল বিক্ষুব্ধ তাঁকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে শুরু করে। বিজেপির অভিযোগ, প্রত্যেকে তৃণমূলের লোক। পাল্টা তৃণমূল দাবি করেছে, এলাকার সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনা আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তা-ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করাচ্ছে কমিশন। অথচ প্রচারে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যখন তৈরি হল, কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? এমনকী ঘটনা চলাকালীন এগোতে দেখা যায়নি পুলিশকেও। প্রশ্ন উঠেছে তাদের ভূমিকা নিয়েও। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিলীপ ঘোষের নিরাপক্ষারক্ষীরা বাধ্য হয়ে পিস্তল উঁচিয়ে সাংসদকে বের করে আনেন।

সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধি বলবৎ হওয়ার পরই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কমিশনের হাতে চলে যায়। উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এলাকায় সামলায় কমিশন। একই সঙ্গে রাজ্যের তরফেও আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন দিকে নজর রাখা হয়। ভবানীপুরের মতো ছোট একটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। তবু তার জন্য ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও দেখা গেল, নির্বাচনের আগে শেষ প্রচারের দিন বিজেপির ঘোষিত কর্মসূচিতে এই বিশৃঙ্খলা। আর ঘটনাস্থলে কোথাও নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নেই পুলিশও।

এর আগে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কোনও রাজনৈতিক অশান্তির খবর এলে পুলিশকে কড়া ভূমিকা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা যাতে কার্যকরী হয়, সেই বিষয়েও পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল মুখ্যসচিবের তরফে। পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরিস্থিতির দিকে সব সময় নজর রাখতে। কিন্তু এসবের পরও সোমবার প্রচারের শেষদিনে যা ঘটল তা আবারও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল ভোটের ভবানীপুরের নিরাপত্তাকে।

এদিন দেশের একজন সাংসদের উপর যে ভাবে একদল মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরাল সওয়াল তুলছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন। নির্বাচন কমিশনকে এর বিহিত করতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক ধাপ এগিয়ে এই ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এর মধ্যে গণতন্ত্রের যে উৎসব, ভোট তা হওয়া আদৌ সম্ভব কি না আমি সন্দিহান। সন্ধ্যাবেলায় আমাদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে। তারা কথা বলবে। একজন সর্বভারতীয় সহ সভাপতির উপর যদি এ ধরনের আক্রমণ হতে পারে, কোন সাধারণ মানুষটা সাহস করবেন ভোট দিতে যাওয়ার?”

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ডুমুরের ফুল’ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, “নির্বাচন কমিশন যখন কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে বাহিনী চায়, কেন্দ্র তা তুলে দেয়। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় কতটা মোতায়েন হবে তা নির্ভর করে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উপর। রাজ্য প্রশাসন এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে বসিয়ে রেখেছে। তাদের ব্যবহার করছে না, তাই তাদের দেখাও যাচ্ছে না।” এই ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে দেখা মেলে উর্দিধারী কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন: Cyclone Amphan: আমফান দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট এবার নিজেই দেখবে মামলার গতিবিধি