AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MAKAUT: শেষমেশ নিজেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ক্লাসরুমে ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরা অধ্যাপিকা পায়েল

MAKAUT: প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকেই ম্যাকাউটের এই ঘটনা গোটা বাংলায় শোরগোল ফেলে দেয়। ক্লাসরুমের 'বিয়ে'র বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদদের একাংশও তিরস্কার করেন। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় দুটো তত্ত্ব উঠে আসছিল।

MAKAUT: শেষমেশ নিজেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ক্লাসরুমে ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরা অধ্যাপিকা পায়েল
কী সিদ্ধান্ত নিলেন অধ্যাপিকা? Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2025 | 5:52 PM
Share

কলকাতা: ক্লাসরুমের মধ্যেই হয়েছিল মালাবদল। প্রথম বর্ষের ছাত্রের হাতে সিঁথিতে সিঁদুর পরেছিলেন অধ্যাপিকা। ম্যাকাউটের এই ঘটনা জোর চর্চা হয় শিক্ষামহলে। নানাবিধ মত উঠে আসে।   বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের কর্তৃপক্ষ অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার আগেই নিজেই পদক্ষেপ করলেন অধ্যাপিকা। পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পদত্যাগপত্র পাঠালেও, তা গৃহীত হয়নি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তেই হবে।

এই নিয়ে অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একটা ড্রামাকে, মানে একটা নাটকে নাচ-গান অনেক কিছুই হয়। কিন্তু কেবলমাত্র একটা অংশকে নিয়ে ভাইরাল করেছে। এটা খুবই নোংরা ব্যাপার। আমাকে চরিত্র হনন হচ্ছে। বাচ্চাদেরও ইমেজ খারাপ হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকেই ম্যাকাউটের এই ঘটনা গোটা বাংলায় শোরগোল ফেলে দেয়। ক্লাসরুমের ‘বিয়ে’র বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদদের একাংশও তিরস্কার করেন। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় দুটো তত্ত্ব উঠে আসছিল।  এক, অধ্যাপিকার বক্তব্য, যে সেটি ফ্রেশার্সের নাটকের একটি ক্লিপিংস, যা ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, যা হল একটি কারিকুলামেরই একটি পার্ট। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট স্পষ্ট করল, এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, “প্রাথমিক রিপোর্টটা আমার হাতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, এটা কোনও ড্রামা নয়, এটা কোনও সাইকো ড্রামা নয়, এটা কারিকুলামের যে পার্ট, তেমনও নয়। এটা নিছক একটা তামাশার জিনিস, সেটাই করেছেন উনি।”

ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজের সমর্থনে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোড্রামা’ বিষয়টি ঠিক কী, সেটাও বোঝান তিনি। কিন্তু প্রথম থেকে এটিকে নাটকের অংশ বললেও, পরে তিনি বলেন এটা সাইকোড্রামার অংশ। তা নিয়েও ধন্দ হয়। ইতিমধ্যেই অধ্যাপিকা সামাজিক মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টটিও উড়িয়ে দিয়েছেন।