Mamata Banerjee: ‘ফুটেজে জাতীয় পতাকা দেখা গিয়েছে’, আরজি করের তাণ্ডবের ঘটনায় বাম-বিজেপিকে নিশানা মমতার
Mamata Banerjee: মমতার দাবি, সে দিন রাতে জাতীয় পতাকা ও ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা দেখা গিয়েছে। মমতা বলেন, "জাতীয় পতাকা নিয়ে গুণ্ডাগিরি করতে দেওয়া যায় না। এটা ক্রাইম। পতাকাকে স্যালুট জানাতে হয়।"
কলকাতা: বুধবার রাতে আরজি করে যে তাণ্ডব চলেছে, সেখানে বিজেপি ও বামেদের পতাকা দেখা গিয়েছে। ঘটনার দু’দিন পর এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন রাতে যেভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তাতে বাম ও বিজেপিকেই নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে বাম-বিজেপি। কত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন মমতা।
গত বুধবার রাতে একদল দুষ্কৃতী আরজি করে ঢুকে প্রবল তাণ্ডব চালায়। ইমার্জেন্সিতে ঢুকে সবকিছু তছনছ করে দেয়। শুক্রবার অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে পথে নেমে মিছিল করার পর বাম-বিজেপিকেই আরও একবার নিশানা করলেন মমতা। তিনি বলেন, “গিয়েছিলেন তো প্রমাণ লোপাট করতে। থার্ড ফ্লোর ভেবে রাতে আপনারা সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। সিসিটিভি ভেঙে দিয়েছেন। জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট করে দিয়েছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম কত ক্ষতি হয়েছে। শুনেছি ৫০ কোটির থেকে বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে, ১০০ কোটিও হতে পারে।”
মমতার দাবি, সে দিন রাতে জাতীয় পতাকা ও ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা দেখা গিয়েছে। মমতা বলেন, “জাতীয় পতাকা নিয়ে গুণ্ডাগিরি করতে দেওয়া যায় না। এটা ক্রাইম। পতাকাকে স্যালুট জানাতে হয়।”
মমতার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বামেরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শুধু মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। এতদিন তো রাস্তায় কখন নামেননি, রাস্তায় কখন নামলেন, যখন একেবারে ধরা পড়ে গিয়েছেন।’
এদিকে, মমতার দাবি, আরজি কর-কাণ্ডে সত্যিটা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শুক্রবার ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের একাধিক মহিলা নেত্রী। ডোরিনা ক্রসিং-এ মিছিল শেষ করার পর সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি দাবি করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার ফলে চাপা পড়ে যাচ্ছে আসল সত্যি।
সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, “অসত্য ভিডিয়ো দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। মিথ্যেটা সামনে এনে সত্যি লুকনো হচ্ছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সব খবর সত্যি নয়। পয়সা কামানোর জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করেছে। তাদের স্পনসর বিজেপি ও সিপিএম।”
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই ব্যবহার করেও এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, “এআই হল সাইবার ক্রাইমের সবথেকে বড় ক্রাইম। ধরুন আমি গেলাম না, আমি বললাম না, অথচ আমার ছবি দেখিয়ে, গলা নকল করে নানা কথা বলে দিতে পারে। এটা কলিযুগ।”