Ultadanga Police Station: দেহ উদ্ধারে তিন থানার মধ্যে টানাপোড়েন, ৪ ঘণ্টা জলেই ভাসল মৃতদেহ

Kolkata Police: খবর দেওয়া হয় উল্টোডাঙা থানায়। তারা এসে বলে ক্যানেলের উপরে শোয়ারেজ পাইপ তাঁদের অন্তর্গত তাই এই এলাকা তাদের নয়। পরে আসে ঘটনাস্থলে আসে লেকটাউন থানা।

Ultadanga Police Station: দেহ উদ্ধারে তিন থানার মধ্যে টানাপোড়েন, ৪ ঘণ্টা জলেই ভাসল মৃতদেহ
দেহ উদ্ধারে তিনটি থানার মধ্যে টানাপোড়েন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2022 | 1:30 PM

কলকাতা: দুর্গাপুর ব্রিজের নিচে বাগজোলা খালে (Bagjola khal) এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে তিনটি থানার মধ্যে টানাপোড়েন। বাগজোলা খালটি কোন থানার অন্তর্গত তা নিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ চলতে দেখা যায় টানাপোড়েন। এ দিন সকালবেলা মানিকতলা থানা (Manicktala Police Station) এসে জানায়, খালের জল তাদের নয়। খবর দেওয়া হয় উল্টোডাঙা থানায় (Ultadanga Police station)। তারা এসে বলে ক্যানেলের উপরে শোয়ারেজ পাইপ তাঁদের অন্তর্গত তাই এই এলাকা তাদের নয়। পরে আসে ঘটনাস্থলে আসে লেকটাউন থানা। এলাকাকার সেই নিয়ে তিন থানার মধ্যে চলে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন। শেষে চার ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় উল্টোডাঙা থানার পুলিশ।

কী ঘটেছে? ঘটনার সূত্রপাত আজ সকাল আটটা নাগাদ। উল্টোডাঙ্গা দুর্গাপুর ব্রিজের নিচে বাগজোলা খালে এক মাঝবয়সি ব্যক্তির দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় মানুষ। সকাল-সকাল এমন দেহ ভাসতে দেখায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। এরপর এলাকাবাসী দ্রুত খবর দেয় মানিকতলা থানায়। ঘটনাস্থলে মানিকতলা থানার পুলিশ আধিকারিকরা এসে উপস্থিত হন। তবে থানার তরফে জানানো হয়, এটা তাদের এলাকার অন্তর্গত নয়, কারণ খালের জল তাদের এলাকার মধ্যে পড়ছে না।

এরপর খবর যায় উল্টোডাঙ্গা থানায়। ঘটনাস্থলে আসে উল্টোডাঙ্গা থানার পুলিশ। এসে জানায় জুলাখালের উপরে যে শোয়ারেজ পাইপ রয়ছে, সেই অবধি এলাকা তাদের থানার অন্তর্গত। দুর্গাপুর ব্রিজটি তাদের থানা এলাকার মধ্যে পড়ছে না। ফলত দেহ উদ্ধার তারা করবে না।

ততক্ষণ অবধি মৃতদেহটি একই ভাবে পড়ে রয়েছে খালের জলে। কোন থানা ওই দেহটি উদ্ধার করবে তা নিয়ে চলছে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন। এরপর খবর যায় লেকটাউন থানায়। পুলিশ আধিকারিকরা আসেন। কিন্তু তখনও সুরাহা হয়নি। এবার লেকটাউন থানা দাবি করেন, এই চ্যানেলটি কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত।এখানে বিধাননগর কমিশনারেটের কোনও ভূমিকাই নেই।

এই টানাপোড়েনেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে যায়। সবশেষে উল্টোডাঙার থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে। তারপর মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর পাঠানো হয়। ওই যুবকের মৃত্যু কীভাবে তা নিয়ে এথনও যথেষ্টই ধোঁয়াশা রয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ।