AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Manik Bhattacharya: M.Com এর আগেই Ph.D, মানিক ভট্টাচার্যের আরও কীর্তি ফাঁস

Manik Bhattacharya: যোগেশচন্দ্র কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপ্যাল পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ, মানিক প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বর্তমানে যোগেশচন্দ্র ল' কলেজে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠেছে।

Manik Bhattacharya: M.Com এর আগেই Ph.D, মানিক ভট্টাচার্যের আরও কীর্তি ফাঁস
মানিক ভট্টাচার্যImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2023 | 12:58 PM
Share

কলকাতা: স্নাতকোত্তরের আগেই পিএইচডি করে ফেলেছিলেন প্রাক্তন পর্যদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। কর্মজীবনের শুরুতে মানিক ভট্টাচার্য বিজয়গড় স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেখানেই শিক্ষকতা করেন তিনি। তারপর ওই বছরেই অগাস্টে হঠাৎ করেই যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হয়ে যান। তখন অবশ্য যোগেশচন্দ্র কলেজ বেসরকারি ছিল। পরে তা UGC-র আওতায় চলে আসে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে মানিক ভট্টাচার্য কোনও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা না করেই কেবল শিক্ষকের পদ থেকে প্রিন্সিপ্যাল হয়ে যান। সেসময়ে একটি মামলাও দায়ের হয়। ২০১৮ সালে পুলিশ মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।

যোগেশচন্দ্র কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপ্যাল পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ, মানিক প্রভাবশালী ছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বর্তমানে যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠেছে। মানিক অধ্যক্ষ পদে নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন। তারই মধ্যে যোগেশচন্দ্র কলেজের প্রিন্সিপ্যাল পঙ্কজ রায় অভিযোগ করলেন, মানিকের সময়েই কলেজে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়েছিল। তাঁর কথায়, “ল কলেজ আন ল-ফুলওয়েতে চলে। মানিকের নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি আগে পিএইচডি, পরে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। অর্থাৎ ওঁ এমকম ফলোড বাই পিএইচডি। তারপর এলএলবি, এলএলএম করে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছে।” মানিকের অযোগ্য পদ সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারী বলেন, ক্ষমতা প্রদর্শনে দুষ্কৃতীদের পুষতেন মানিক। আদালতেও এটাও উল্লেখ করা হয়েছে, ল’ কলেজে দুষ্কৃতীদের মাথায় প্রভাবশালী মানিকের হাত ছিল। তার জন্য পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই আদালত ওই ল’ কলেজের পাঁচ জন বহিরাগতকে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সাব্বির আলি।