Sougata attacks Kalyan: ‘হয়তো বিজেপির থেকে কমিশন পেয়েছে’, কল্যাণের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে ধার বাড়ালেন সৌগত
Sougata attacks Kalyan: সৌগতর দাবি এরপর আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিফ হুইপ পদে রাখা উচিত নয়। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি বলছেন, “এই ক’দিন সুদীপ অসুস্থ থাকায় কল্যাণের হাতে ক্ষমতা এসেছিল। হাতে মাথা কাটছিল। যাকে ইচ্ছা বলতে দিচ্ছিল, যাকে ইচ্ছা বলতে দিচ্ছিল না। বলতে চাইলে লোককে অপমান করছিল।”

কলকাতা: “আমি খুব দুঃখিত।” গোটা সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার বললেন একটাই কথা। সঙ্গে খানিক আক্ষেপের সঙ্গেই সৌগত রায় বললেন, “আমি তো আজ সকাল পর্যন্ত ওর নামে কিছু বলিনি। কল্যাণের এই আচরণের জন্য আমাদের দলের সম্মান ক্ষণ্ণ হল।” তবে একাধিক ইস্যুতে করলেন চাঁচাছোলা আক্রমণ। আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বললেন, “ওর কোনও ভারসাম্য নেই, যে এত খারাপ ব্যবহার করে তাঁকে চিফ হুইপ পদে রাখা উচিত নয়। অনেকে বলে ওর মেন্টাল কমপ্লেক্স আছে। তাই ও এমন আচরণ করে।”
প্রসঙ্গত, নারদা কেসের প্রসঙ্গ টেনে এদিন সৌগতর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের সাংসদকে। সাফ বলেছেন, “সৌগত রায় তো সে সময়ে পালিয়ে যেত। ২০১৬-১৭-১৮ সালের কথা… যে সময়ে ওকে দেখলেই চোর চোর বলত সকলে, নারদা কাণ্ডে যাদের নাম জড়িয়েছিল, তাদের একজন এমপি বসে থাকত? সেই তো আমাকে বসে বসে শুনতে হয়েছে। নারদার থেকে সৌগত রায়রাই ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।” পাল্টা সৌগত বলছেন, “উনি হয়তো বিজেপির থেকে কমিশন পেয়েছেন এসব বলার জন্য। বিজেপি তো আমাদের কিছু করতে পারছে না। তাই এসবকে উৎসাহ দেবে।”
প্রসঙ্গত, সৌগতর দাবি এরপর আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিফ হুইপ পদে রাখা উচিত নয়। তিনি বলছেন, “এই ক’দিন সুদীপ অসুস্থ থাকায় কল্যাণের হাতে ক্ষমতা এসেছিল। হাতে মাথা কাটছিল। যাকে ইচ্ছা বলতে দিচ্ছিল, যাকে ইচ্ছা বলতে দিচ্ছিল না। বলতে চাইলে লোককে অপমান করছিল।” সৌগতর আরও দাবি, তৃণমূলের সাংসদদের মধ্যে এমন একজনও লোক পাওয়া যাবে না যে কল্যাণের পক্ষে। কিন্তু চিফ হুইপের পদ থেকে তাঁকে সরানোর ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই তাঁরা মেনে নেবেন বলে জানাচ্ছেন কল্যাণ। শেষ শুধু তাঁর সংযোজন, “আমার মত কল্যাণকে চিফ হুইপ পদে রাখা উচিত নয়।”
