AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sukanta Majumdar: ‘বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিন’, মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্যপালকে আবেদন সুকান্তর

Sukanta Majumdar: এদিন মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলালপুরে যান সুকান্ত। মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে এসে পারলালপুর হাইস্কুলে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অভিযোগ শোনেন।

Sukanta Majumdar: 'বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিন', মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্যপালকে আবেদন সুকান্তর
রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন সুকান্ত মজুমদারImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2025 | 10:17 PM
Share

কলকাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কিন্তু, এখনও অনেকে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পাশের জেলা মালদহে আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। সোমবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানালেন।

মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় বিএসএফ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে পৌঁছে যায় আধাসেনাও। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জেলায় যান। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। গুজব এখনও ছড়াচ্ছে বলে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। গুজব ছড়ানো আটকাতে বেশ কিছু জায়গায় মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিন মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলালপুরে যান সুকান্ত। মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে এসে পারলালপুর হাইস্কুলে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অভিযোগ শোনেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর সুকান্ত বলেন, “যাদের বাড়িঘর ভাঙা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আমরা জেলায় জেলায় রাস্তায় নামব। আর আদালতে যাব। একদিকে গণতান্ত্রিক পথে বিক্ষোভ চলবে। অন্যদিকে আইনি পথে লড়াই হবে।”

সেখান থেকে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন সুকান্ত। মহিলারা তাঁর কাছে যেসব অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেগুলি তুলে ধরেন। রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়ে এলাকায় দ্রুত শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এইসব পরিবারের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা যাতে বাড়ি ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন। এই হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিতে রাজ্যপালকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।