AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Monalisa Das: বিশ্ববিদ্যালয়টাকে কব্জা করে ফেলেছিলেন, মোনালিসার বিরুদ্ধে উঠছে বিস্ফোরক অভিযোগ

Monalisa Das: ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ বিকাশ ভবনে জমা দিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, পার্থর নাম করেই প্রভাব খাটাতেন মোনালিসা।

Monalisa Das: বিশ্ববিদ্যালয়টাকে কব্জা করে ফেলেছিলেন, মোনালিসার বিরুদ্ধে উঠছে বিস্ফোরক অভিযোগ
মোনালিসা দাস
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 5:59 PM
Share

কলকাতা : অর্পিতার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত যে নাম নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে, সেটা হল মোনালিসা দাস। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। ইডির নজরে রয়েছেন তিনিও। ইডি সূত্রে জানা যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই অধ্যাপিকাও। তাঁর বিরুদ্ধেই এবার সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ। কোনও এক অজ্ঞাত শক্তিবলে তিনি নাকি বহু অযোগ্য প্রার্থীকেও চাকরি পাইয়ে দিতেন। তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীদের দাবি, কোথাও যে একটা গণ্ডগোল ছিল, সেটা বোঝাই যেত। একদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরই মধ্যে মোনালিসার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের অন্তত ১০০ জন চাকরি প্রার্থীরা প্রমাণ তালিকা পেশ করেছেন বিকাশ ভবনে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, মোনালিসার বিরুদ্ধে তাঁদের কথা মতো পার্থর নামে প্রভাব খাটিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে চাকরি জুটিয়ে দিয়েছেন মোনালিসা।

এখানেই শেষ নয়, মোনালিসার বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও অনেক। তিনি নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অলিখিত উপাচার্য হিসেবে কাজ করেন। তাঁর কথাই কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কথা, এমনটাই বলছেন সহকর্মীদের একাংশ। পাঁচ কদম এগোতেও গাড়ি লাগে মোনালিসার। সহকর্মীর অভিযোগ, পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই এই ক্ষমতা তাঁর।

প্রাক্তন সহকর্মী হিরন্ময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মোনালিসা দাস বিশ্ববিদ্যালয়টাকে পুরোপুরি কব্জায় নিয়ে চলে এসেছিলেন। আমরা প্রথমে ধরতে পারতাম না। আমার এটাও নজরে এসেছিল, কোনও কোনও অযোগ্য ছাত্র সোনার মেডেলও পেয়ে গিয়েছে। তখনই মনে হত, কোথাও কোনও গণ্ডগোল রয়েছে।’ পাশাপাশি, অভিজ্ঞতা ছাড়া মোনালিসার যে ভাবে পদোন্নতি হয়েছে, তাতেও পার্থর হাত আছে বলে মনে করেন অনেকেই।

এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, প্রাপ্ত নম্বর অনেক কম, এম এ পাশ করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন অনেকেই। অথচ, পিএইচডি করেছেন তাঁকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিচ্ছেন। তবে আপাতত মোনালিসা এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তিনি স্পিকটি নট। বারবার ফোন, মেসেজ করলেও তিনি নিরুত্তর।

ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা ছাড়া আরও পার্থ ঘনিষ্ঠ চার মহিলার নাম এসেছে তাঁদের হাতে। সেই তালিকায় একজন আইএএস অফিসারের নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।