OBC Certificate: ‘মুসলিমদের একশোর বেশি, হিন্দুদের ৬১… আমরা দ্রুত…’, রাজ্যের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার কথা বলছে কমিশন
OBC Certificate: জাতীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহিরের দাবি, বারবার রিপোর্ট চাওয়া হলেও পাওয়া যায় না। তিনি বলছেন, একশোর বেশি মুসলিম জাতি আর ৬১ টা হিন্দু জাতি এখানে ওবিসির তালিকায়। এখানকার কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট একদম খারাপ সার্ভে করে। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি দেয় না।
কলকাতা: ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি তালিকা বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী, বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। বাতিল হয়ে গিয়েছে ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। তা নিয়ে জোর চাপানউতোর চলছে নাগরিক মহলে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজনীতির আঙিনাতেও। এরইমধ্যে টিভি ৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক দাবি করলেন জাতীয় ওবিসি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ গঙ্গারাম আহির। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এক বছরে অনেক জাতিকে ওবিসির অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল, যা নিয়ম বিরুদ্ধ।
গুরুতর অভিযোগ করেছেন মুখ্য সচিবের বিরুদ্ধেও। রাজ্যের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের কথাও বলছেন তিনি। টিভি ৯ বাংলার সাক্ষাৎকারে হংসরাজ বলেন, এখান মুখ্য সচিব কোনও সহযোগিতা করেন না। আমরা রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি পাইনি। এরা অসম্মান করে।
তাঁর আরও দাবি বারবার রিপোর্ট চাওয়া হলেও পাওয়া যায় না। তিনি বলছেন, একশোর বেশি মুসলিম জাতি আর ৬১ টা হিন্দু জাতি এখানে ওবিসির তালিকায়। এখানকার কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট একদম খারাপ সার্ভে করে। কতবার রিপোর্ট চেয়েছি দেয় না।
এদিনের সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, “ওবিসি তালিকায় কোনও জাতিকে জুড়তে গেলে যে যে নিয়ম মানতে হয়, যেভাবে রিপোর্ট তৈরি করতে হয় তার কোনও কিছুই করা হয়নি। সেটাই এখন সামনে এসেছে। হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে। কোনও জাতিকে ওবিসি তালিকায় আনতে গেলে তার একটা সার্ভে করতে হয়, রিপোর্ট তৈরি করতে হয়। কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ওই কাজ করে। কিন্তু ওরা ঠিক ভাবে কাজ করে না। এদিকে ওদের রিপোর্ট এখানকার ওবিসি কমিশন মানে, সেটাই আবার এখানকার সরকার মানে। কিন্তু, যেটা ঠিক নয়। আমরা ১০ থেকে ১২ বার রিপোর্ট আনতে দিল্লিতে ডেকেছিলাম। এক বছর হয়ে গেল রিপোর্ট দেয় নি। আসেনি কেউ দেখা করতে। আমরা দ্রুত অ্য়াকশন নেব।”