শেষ হল ‘দুয়ারে সরকার’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়

Duare Sarkar: গত ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাস এই দুয়ারে সরকারের শিবির চলে। এবার মোট আবেদন জমা পড়েছে তিন কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষ (৩ কোটি ৫৬ লক্ষ)।

শেষ হল 'দুয়ারে সরকার', লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়
গত ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাস এই দুয়ারে সরকারের শিবির চলে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 7:55 AM

কলকাতা: শেষ হল দুয়ারে সরকারের শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৬ অগস্ট থেকে শুরু হয় দুয়ারে সরকার শিবির। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এই শিবিরে সব থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। সংখ্যাটা কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।

গত ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাস এই দুয়ারে সরকারের শিবির চলে। এবার মোট আবেদন জমা পড়েছে তিন কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষ (৩ কোটি ৫৬ লক্ষ)। লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পেই আবেদন এসেছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ। এরপরই রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর স্থান। ৬৫ লক্ষ আবেদন পত্র জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের উপভোক্তা হতে চেয়ে।

খাদ্যসাথীর জন্য আবেন করেছে ২৭ লক্ষ মানুষ। কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য ২৭ লক্ষ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ২ লক্ষ ৩৩ হাজার, আধার কার্ড করার জন্য ২ লক্ষ ৫৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এক মাস ধরে এই শিবির চলল রাজ্য জুড়ে। যদিও ভোটের কারণে ভবানীপুর ও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুরে দুয়ার সরকার আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেই কথা মাথায় রেখেই এই কেন্দ্রগুলিতে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে। চলতি বছর দুয়ারে সরকারে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হিসেবে উঠে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য রাজ্যের মহিলাদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝ রাত কিংবা ভোর থেকে মানুষের লম্বা লাইন পড়েছিল শিবিরগুলিতে। প্রচুর অপ্রীতিকর পরিস্থিতিরও তৈরি হয় এই দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে। বিভিন্ন জায়গায় লাইনে মারামারি, বিশৃঙ্খলা তো ছিলই। প্রকল্পের কাজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় আধিকারিকদের।

প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হওয়া এবং সেই প্রকল্পের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া এক নয়। যেমন গত প্রথম দুয়ারে সরকারে মানুষ যে ভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন কিংবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছিলেন, পরবর্তীকালে এ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগও সামনে এসেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে এক মাসের মধ্যে যে প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যায়, নিঃসন্দেহে সেই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকে না।

আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমে বড় বিপদ ঠেকাতে উদ্যোগী পুরসভা, টিকাকরণে বড় ঘোষণা