Mukul Roy: ঝরেনি মুকুল, রায় সাহেব আছেন পদ্মেই, দলত্যাগের অভিযোগ খারিজ বিধানসভায়

Mukul Roy: উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন পরই তাঁকে দেখা যায় তৃণমূল ভবনে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মুকুল রায়ের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন।

Mukul Roy: ঝরেনি মুকুল, রায় সাহেব আছেন পদ্মেই, দলত্যাগের অভিযোগ খারিজ বিধানসভায়
দলবদল করেননি মুকুল রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 4:06 PM

কলকাতা : মুকুল পদ্মেই। রায় সাহেবের দলত্যাগের অভিযোগ খারিজ হল বিধানসভায়। বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন। তিনি কোনও দলবদল করেননি। উল্লেখ্য, এর আগেও মুকুল রায়ের দলবদলের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ শুনানি চলেছিল। তখনও বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় দলত্যাগ করেননি। পরে অধ্যক্ষের সেই রায় আবারও পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় বিধানসভায়। এরপর বুধবার আবারও স্পিকার সেই একই কথা জানিয়ে দিলেন, মুকুল বিজেপিতেই রয়েছেন।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন পরই তাঁকে দেখা যায় তৃণমূল ভবনে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মুকুল রায়ের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার থেকেই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রথম দফায় মুকুল রায়ের দলত্যাগ মামলা নিয়ে মোট ১২ টি শুনানি হয়। সেই দীর্ঘ শুনানি পর্বের পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় দলত্যাগ করেননি। তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন।

পরবর্তীতে বিধানসভার অধ্যক্ষের এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যান বিজেপি বিধায়করা। আদালতের তরফ থেকে বিধানসভার অধ্যক্ষকে বলা হয়, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য। সে ক্ষেত্রে বিজেপির থেকে বক্তব্য ছিল, তাঁদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেশ কিছু ছবি ও নথিপত্রও জমা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বুধবার রায় সাহেবের দলত্যাগের সেই অভিযোগ আবারও খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।

বুধবার যখন মুকুল মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছিল বিধানসভায়, তখন কেবল মুকুল রায়ের আইনজীবীরাই ছিলেন সেখানে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে কোনও আইনজীবী বুধবার ছিলেন না। তবে স্পিকারের এই রায় তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেই বিজেপি বিধায়করা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁরা আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন, এমন সম্ভবনার কথাও বলেছেন তাঁরা।

এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য এবং সেই সঙ্গে তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী ও অম্বিকা রায়  যে দু’টি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন বিধানসভায়, সেই নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিষয়টি আবার হাইকোর্টে আসে। বিচারপতি আমাকে এক মাসের মধ্যে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছিলেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। ইলেকট্রনিক এভিডেন্সগুলিও দেখেছি। কিন্তু মামলাকারী জমা করা ইলেকট্রনিক এভিডেন্সগুলির যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে আমি আগের রায়ই বহাল রাখছি।”