KMC: রুফ-টপ রেস্তোরাঁ ভাঙতে গিয়ে বিপত্তি, অসহায় হয়ে ফিরলেন পুরকর্মীরা, কেন?
KMC: কলকাতা পুরসভার তরফে মোট ৮৩টি এমন রেস্তোরাঁ বাছাই করা হয়েছে, যেগুলির ছাদের উপর রয়েছে। সেই রেস্তোরাঁগুলিকে ধরে ধরে নোটিস পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে দেখা গিয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় নোটিস লাগানো হয়।

কলকাতা: পুলিশের সামনেই কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সার্দান অ্যাভিনিউর ছাদে উপরে রেস্তোরাঁ ভাঙতে এসে ফিরে গেল কলকাতা পুরসভার টিম। বস্তুত,কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছিলেন,শহরের ছাদের উপরে থাকবে না রেস্তোরাঁ। মেছুয়ার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে মেয়রের নির্দেশ পালন করতে গিয়েই বিপাকে কলকাতা পুরসভার দল।
কলকাতা পুরসভার তরফে মোট ৮৩টি এমন রেস্তোরাঁ বাছাই করা হয়েছে, যেগুলির ছাদের উপর রয়েছে। সেই রেস্তোরাঁগুলিকে ধরে ধরে নোটিস পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে দেখা গিয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় নোটিস লাগানো হয়। তারপর সেটিকে খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর শনিবার বিকেলে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের একটি ছ’তলা বাড়ির উপরে তৈরি রেস্তোরাঁ ভাঙতে আসে কলকাতা পৌরসভার ডেমোলিশন টিম। সঙ্গে ছিল দমকল এবং কলকাতা পুলিশ। দমকলের আধিকারিকরা ওই রেস্তোরাঁর যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন।
কলকাতা পুরসভা এবং পুলিশের আধিকারিকরা যখন ওই রেস্তোরাঁতে পৌঁছন, তখন সেখানকার কর্তাদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। রেস্তোরাঁ কর্তারা দাবি করেন, আদালত থেকে তারা স্থগিতাদেশ অর্ডার নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কলকাতা পুরসভার কর্তাদের দাবি, রেস্তোরাঁ ভাঙা হচ্ছে না। ছাদের উপর অংশটি খুলে ফেলা হচ্ছে। তাই স্থগিতাদেশ ওই অর্ডার মান্যতা দেওয়া হবে না।
এরপরই রেস্তোরাঁয় তুমুল বাগবিতণ্ডার পর পুরসভার ডেমোলিশন টিম কলকাতা পুলিশকে নিয়ে ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। সেই সময় সেখানকার কর্মীরা রীতিমতো হাতজোড় করে বলতে থাকেন, এই রেস্তোরাঁ ভাঙা যাবে না। রুটি রোজগারের সঙ্গে জড়িয়ে এই জায়গাটি তাদের।
পুরসভার টিম তাও সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করে। এরপরই ধাক্কা-ধাক্কি করে পুরসভার টিমকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পুলিশের সামনেই কলকাতা পুরসভার দল কোনও কাজ করতে না পেরেই বেরিয়ে যায়। রীতিমতো অসহায় বোধ করতে থাকেন কলকাতা পৌরসভার কর্মীরা। পুলিশ যদিও কোনও কাজেই এগিয়ে আসেনি বলে পুরসভার কর্মীরা অভিযোগ জানিয়ে যান।
এরপর দেখা যায় ওই বাড়িটির এবং রেস্তোরাঁতে যে কয়েকটি অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা লাগানো রয়েছে, সবগুলির সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ।বেআইনিভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মধ্যেই ওই রেস্তোরাঁ চলছে। জানিয়ে কেউই মুখ খুলতে চাইলেন না। শান্তিরঞ্জন দেবনাথ বলেন, “৮৩টা রেস্তোরাঁ আমি শুনলাম ভাঙার অর্ডার এসেছে ! আর আমাদের এখানে প্রচুর মানুষ কাজ করেন। তারা না খেতে পেয়ে মারা যাবে।”

