Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়িতে তখন পড়ে দুই বউ-মেয়ের রক্তাক্ত দেহ, দুই ভাই আর ছেলে রাস্তায় বেরোন ‘আত্মহত্যা’ করতেই? ট্যাংরাকাণ্ডে রোমহর্ষক তথ্য

Mysterious death in Tangra: সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে যে বয়ান দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরেই নিজেরাই নিজেদের শরীরে আঘাত করেছে। ওইভাবেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে তা নিজেরাই করেছেন নাকি কেউ মারধর করেছেন তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে।

বাড়িতে তখন পড়ে দুই বউ-মেয়ের রক্তাক্ত দেহ, দুই ভাই আর ছেলে রাস্তায় বেরোন 'আত্মহত্যা' করতেই? ট্যাংরাকাণ্ডে রোমহর্ষক তথ্য
পরতে পরতে রহস্য। বাড়ি থেকে বের করা হচ্ছে দেহ Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2025 | 12:27 PM

কলকাতা: ট্যাংরাকাণ্ডে এখনও ধন্দে পুলিশ। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। প্রণয় দে ও প্রসূণ দে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে তাঁদের লেদারের ব্যবসা ছিল। এলাকায় গিয়ে তদন্ত নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাড়ির সদস্যদের। সূত্রের খবর, বাড়ির লোক মারফত পুলিশ জানতে পেরেছে বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যবসায় লোকসান হচ্ছিল। ঘটনার পিছনে আর্থিক সমস্যাই মূল কারণ কিনা তা বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। 

কিছু সময় আগেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার স্পষ্টতই জানান, মধ্যরাত সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি চারচাকা গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই দুর্ঘটনাতেই আহত হয়েছিলেন প্রণয় দে ও প্রসূণ দে। তাঁদের ঠিকানায় খোঁজ চালাতেই তাঁদের স্ত্রী-সহ মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু, খুন করে হত্যা, বাড়িতে ঢুকেই ওই মহিলাদের কেউ খুন করে নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। যদিও কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। জোর দেওয়া হচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। 

সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে যে বয়ান দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরেই নিজেরাই নিজেদের শরীরে আঘাত করেছে। ওইভাবেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে তা নিজেরাই করেছেন নাকি কেউ মারধর করেছেন তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে। তবে কী প্রথমে বাড়ির তিন সদস্য আত্মহত্যা করতেই বাকিরাও আত্মহত্যার পথে হাঁটছিলেন? মানসিক আঘাত তীব্র হতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দুই ভাই? উঠছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। প্রতিবেশীদের অনেকেই আবার বলছেন, বাড়ির বড় ছেলের পুত্রেরও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। যদিও তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।

সে কারণে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া তিন দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপরেই। সোজা কথায়, আঘাতের অভিমুখ জানলে গোটা ঘটনার রহস্য অনেকটাই কাটতে পারে। ঘটনায় কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা বলছেন, “কেন হল তার পুরো রিপোর্ট আমার কাছে নেই। তবে আর্থিক কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে পরিবারের মধ্যেই যে কিছু ইস্যু আছে।”