Passport Fraud: জেলা-কমিশনারেটগুলিতে গেল নয়া নির্দেশিকা, পাসপোর্ট জালিয়াতি রুখতে ঠিক কোন পথে হাঁটতে চাইছে পুলিশ
Passport Fraud: রবিবার দুপুরে লালবাজারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। সেখানে কেন্দ্রের পাসপোর্ট অথরিটির নির্দেশিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
কলকাতা: জাল পাসপোর্ট নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। জোরকদমে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। এরইমধ্যে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে পুলিশের কি করণীয় সে ব্যাপারে নয়া নির্দেশিকা পৌঁছাল জেলা ও কমিশনারেটগুলিতে। সূত্রের খবর, স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ থেকে পাঠানো হয়েছে এই নয়া নির্দেশিকা। যেদিন ডিজি জানিয়েছিলেন পাসপোর্ট যাচাইয়ের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নেই, সেদিনই অর্থাৎ রবিবার বিকেলে ই-মেইল করে স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ থেকে পাঠানো হয়েছে এই লিখিত নির্দেশিকা। নয়া নির্দেশিকায় জেলার পুলিশ সুপার ও সিপিদের কাঁধেও চাপানো হয়েছে নতুন দায়িত্ব।
কী আছে এই নতুন নির্দেশিকায়?
পাসপোর্টের এনকোয়ারির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ নতুন সিদ্ধান্ত। গ্রাউন্ড এনকোয়ারি করবে স্থানীয় থানা, ঠিক হয়েছে এমনটাও। থানার ওসি’কে সেই এনকোয়ারি রিপোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পাঠাতে হবে।
এই খবরটিও পড়ুন
জেলার ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার, শহরে পুলিশ কমিশনারকে একজন দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে পাসপোর্টের আবেদনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। পাসপোর্টের আবেদন ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত লগ ইন আইডি পাসওয়ার্ড এসপি বা সিপি’রা নিজেদের কাছেই রাখবেন।
রবিবার দুপুরে লালবাজারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। সেখানে কেন্দ্রের পাসপোর্ট অথরিটির নির্দেশিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বৈঠকে রাজীব কুমার বলেছিলেন, “পুলিশের দায় নেই। ঠিকানা ভেরিফাই করার পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভূমিকা নেই পুলিশের। পাসপোর্ট অথরিটি নির্দেশ দিয়ে রেখেছে। আমরা বলেছি এটা পরিবর্তন করতে হবে।” এরইমধ্যে এবার পুলিশের নতুন নির্দেশিকা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।