NSE CO-Location Scam: এবার কো-লোকেশন কেলেঙ্কারিতে কলকাতায় অভিযান সিবিআইয়ের
CBI: এই কেলেঙ্কারিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চলছে। শনিবার কলকাতাতেও দু' জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
কলকাতা: ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) কো-লোকেশন কেলেঙ্কারিতে (CO-Location Scam) তল্লাশি সিবিআইয়ের। এবার কলকাতায় অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়েক হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায়। এই কেলেঙ্কারি নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (National Stock Exchange of India) প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার চিত্রা রামকৃষ্ণকে (Chitra Ramkrishna) গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চলছে। শনিবার কলকাতাতেও দু’ জায়গায় অভিযান চালানো হয়। আর এন মুখার্জি রোডের পাশাপাশি সল্টলেকেও অভিযান চলে। কী এই কো-লোকেশন কেলেঙ্কারি? ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ‘মার্কেট ম্যানিপুলেশন’ সংক্রান্ত কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি এই কো-লোকেশন কেলেঙ্কারি। কো-লোকেশন মূলত সেই পরিষেবা, যা ‘থার্ড পার্টি’ সার্ভার হিসাবে কাজে লাগানো যায়। অভিযোগ, এই পরিষেবাকে কাজে লাগিয়ে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বাইরে গিয়েছে। শুরু হয় তদন্ত। সিবিআই এনএসইর প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ ও এনএসইর প্রাক্তন সিওও আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বিরুদ্ধে গত মাসেই চার্জশিট পেশ করেছে। এই কেলেঙ্কারিতে তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে খবর, শনিবার যে অভিযান চলছে তা মূলত কিছু স্টক ব্রোকারের অফিসে। যাঁরা এনএসইর মাধ্যমে এই কো-লোকেশন ফেসিলিটি ‘ম্যানুপুলেট’ করত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এই মামলা বেশ কয়েক বছরের পুরনো একটি মামলা। যেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শহর কলকাতাতেও এই মামলায় তল্লাশি অভিযান চলে শনিবার। ১ নম্বর আরএন মুখার্জি রোডের একটি বহুতলের তিনতলাতে একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে উঠে আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন তল্লাশি চলে বলে সূত্রের খবর। শুধু আরএন মুখার্জি রোডই নয়, পাশাপাশি সল্টলেকেও একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসেও তল্লাশি চলছে। কলকাতার সঙ্গে দিল্লি, মুম্বই, গান্ধীনগর, নয়ডা, গুরুগ্রামে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
CBI conducting searches against brokers at more than 10 locations in Delhi, Mumbai, Kolkata, Gandhinagar, Noida and Gurugram in connection with the NSE co-location scam case: Sources
— ANI (@ANI) May 21, 2022
চলতি বছরেই সেবির নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম ও চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেফতারও করা হয়। ২০১৮ সালে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মূলত সেবির রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই মামলা দায়ের হয়। যেখানে তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগ ও গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই সে তদন্ত নতুন মোড় নিতে শুরু করে। অভিযোগ ওঠে, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি সংস্থার সিইও থাকাকালীন তিনি হিমালয়ের এক সাধুর নির্দেশ মতো একাধিক নিয়োগ করেছেন। সংস্থার বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে চিত্রার বিরুদ্ধে।
টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এরপরই চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে উঠে আসে চিত্রা যে ‘সাধু’র কথা বলছিলেন, তিনি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেরই প্রাক্তন মুখ্য কার্যনিবাহী আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁকে একটানা জেরার পর চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৬ মার্চ অবধি তাঁকে সিবিআই হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।