AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কয়লাকাণ্ড: লালার কয়েকশো কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তিন বার হাজিরা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেও তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। এরই মধ্যে সোমবার চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্নমালার মুখোমুখি হতে হয় লালাকে।

কয়লাকাণ্ড: লালার কয়েকশো কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Apr 05, 2021 | 7:17 PM
Share

কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। সোমবার লালাকে নিজাম প্যালেসে তলব করে চতুর্থ দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই অনুপ মাজি ওরফে লালার ১৬৫.৮৬ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। প্রসঙ্গত, আগামিকালই লালাকে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

সিবিআই এবং ইডি, কয়লাপাচার মামলায় এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সাঁড়াশি চাপের মধ্যে রয়েছে গোটা চক্রের কিংপিন লালা। ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তিন বার হাজিরা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেও তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। এরই মধ্যে সোমবার চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রশ্নমালার মুখোমুখি হতে হয় লালাকে। তারপরই জানা যায়, লালার এই বিরাট টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সূত্রের খবর, মূলত ইস্পাত কারখানার প্রায় ১৬৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চতুর্থবার সিবিআই দফতরে হাজির হলেন লালা, একগুচ্ছ প্রশ্ন সাজিয়েছেন গোয়েন্দারা

ইডি সূত্রে খবর, আসানসোল ও পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে একাধিক স্পঞ্জ আয়রন কারখানা ছিল লালার। ইসিএল থেকে যে কয়লা লালা তুলে আনত, তার একটা অংশ সেই স্পঞ্জ আয়রন কারখানাতেও ব্যবহার হত। সেই তথ্য জানার পরই ইডি নতুন করে উদ্যোগ নেয় এবং লালার এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। লালার আরও যে প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলিও ধাপে ধাপে বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে খবর ইডি সূত্রে।

আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্ত করতে কে আটকেছে?’ কয়লাকাণ্ডে আক্রমণাত্মক অভিষেক

লালার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টেও সিবিআই আবেদন জানাবে বলে খবর। আবেদন করা হবে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার জন্য। যাতে কয়লাপাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা যায়। যেহেতু আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালার রক্ষাকবচ রয়েছে, সেই কারণে ওই দিনের পরই আদালতে আবেদন জানানো হবে সেই কবচ প্রত্যাহারের। সিবিআই ভেবেছিল লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লাপাচার কাণ্ডের মূল পাণ্ডাদের সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু কোনও ভাবেই তাঁর থেকে কাঙ্খিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বার সিবিআই চাইছে নিজের হেফাজতে নিয়ে লালাকে জেরা করতে।