Bangladesh Update: ভোটের ‘হাওয়া গরম’ করা কথা নয়! ‘সেভেন সিস্টার’ নিয়ে অন্য মতলব
Bangladesh News Today: ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশের ছোট, মেজো স্তরের নেতাদের উস্কানি সহজ ভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। কখনও জাতীয় নাগরিক পার্টি, কখনও জামাত আবার কখনও কোনও ভুঁইফোড় কট্টরপন্থী সংগঠন - বাংলাদেশের অনেক নেতাই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।

নয়াদিল্লি: এক রাতের মধ্যে অনেক-কিছু বদলে গিয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা, কলকাতা, দিল্লিতে ভারত বাংলাদেশ দূতাবাসে একসঙ্গে বিজয় দিবস উদযাপন। বুধবার বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে ডেকে বেশ কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তারপর বুধবারই ভারতীয় হাই কমিশনে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবারও রাজশাহী ভারতীয় দূতাবাসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করল বিক্ষোভকারীরা। বুধবারই এই ঘটনায় বাংলাদেশে ভিসা অফিস বন্ধ করে দিল নয়াদিল্লি। তবে গোটা ব্যাপারটা শুধু হাই কমিশনের নিরাপত্তায় আটকে নেই।
ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশের ছোট, মেজো স্তরের নেতাদের উস্কানি সহজ ভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। কখনও জাতীয় নাগরিক পার্টি, কখনও জামাত আবার কখনও কোনও ভুঁইফোড় কট্টরপন্থী সংগঠন – বাংলাদেশের অনেক নেতাই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ভোটের আগে সস্তা হাততালি পাওয়ার জন্য নেতারা এমন কত-কথাই তো বলেন। এগুলো এত গুরুত্ব দেওয়ার দরকার রয়েছে কি?
নয়াদিল্লি কিন্তু এবার উল্টো পথেই হাঁটছে। কেন্দ্রের ধারণা, ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে টানা উস্কানি শুধু ভোটের জন্য নয়। এর পিছনে রয়েছে অন্য সমীকরণ। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার সেটা জেনেও চুপ। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লা আমাদের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করার বলেছেন। যতটা খবর পাচ্ছি, সেই ভিডিও বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে দেখিয়ে ব্যাখ্যা চায় বিদেশমন্ত্রক। হাই কমিশনার রিয়াজ উত্তর দেন, এটা বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান নয়। ঠিক কী বলেছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ? হাসনাতের কথায়, ‘ভারতের সব বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে প্রয়োজনে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেব। যারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয়, প্রশ্রয় দিচ্ছে, অর্থ-প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, তাদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে।’
