Trading Fraud: ট্রেডিংয়ে টাকা বাড়াতে গিয়ে সব শেষ! বিহারের প্রতারকের পাতা ফাঁদে প্রায় ২ কোটি হারালেন দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী
Trading Fraud: টাকা দেওয়ার পর ব্রিজেসবাবুকে জানানো হয় তাঁর টাকা ভালই খাটছে। ভালই হচ্ছে ট্রেডিং। বিনিয়োগ লাভও উঠে আসছে। ভাল উপার্জন হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ কথা শুনে মুখে হাসি ফুটে ওঠে ব্রিজেসবাবুর। কিন্তু, প্রতারকদের খেলা তখনও চলছে।

কলকাতা: ফরেক্স ট্রেডিংয়ের নাম করে প্রায় দেড় কোটিরও বেশি টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ। হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে শহরের বুকে। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছিল নারায়ানপুরের ব্রিজেস ঘোষের সঙ্গে। তিনি আদতে দুর্গাপুরের বাসিন্দা! দেওয়া হয় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের টোপ। একটি ভুয়ো অ্যাপও ডাউনলোড করানো হয়েছিল। তারপরই তার কাছ থেকে দফায় দফায় হাতিয়ে নেওয়া হয় ১ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা।
টাকা দেওয়ার পর ব্রিজেসবাবুকে জানানো হয় তাঁর টাকা ভালই খাটছে। ভালই হচ্ছে ট্রেডিং। বিনিয়োগ লাভও উঠে আসছে। ভাল উপার্জন হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ কথা শুনে মুখে হাসি ফুটে ওঠে ব্রিজেসবাবুর। কিন্তু, প্রতারকদের খেলা তখনও চলছে। এরইমধ্যে নিজের ঢালা টাকা তুলতে চান ব্রিজেসবাবু। আর তখনই সবটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনও টাকাই তুলতে পারেননি। বুঝে যান তিনি বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
১৭ জুন গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্রিজেস। তারপর থেকেই জোরকদমে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ইকবালপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বিহারের বাসিন্দা এস কে মোহাম্মদকে। এদিনই তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সে কারণেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালাতে চাইছেন পুলিশ কর্তারা।
