Extortion: খাস কলকাতায় তোলা চেয়ে ‘হুমকি’ প্রোমোটারকে, গ্রেফতার তৃণমূল সমর্থিত হকার ইউনিয়নের নেতা
Kolkata: অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই স্থানীয় থানার পুলিশ প্রেম দাস নামে ওই ব্যক্তিকে। এলাকায় তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত সে। কলকাতা পুরনিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সমর্থিত হকার ইউনিয়নের সভাপতি সে।
কলকাতা: প্রোমোটারের কাছে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার দাবির অভিযোগ উঠল প্রেম দাস এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। এমনকী ওই প্রোমোটারকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই স্থানীয় থানার পুলিশ প্রেম দাস নামে ওই ব্যক্তিকে। এলাকায় তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত সে। কলকাতা পুরনিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সমর্থিত হকার ইউনিয়নের সভাপতি সে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রেম দাস ও তার দলবল এলাকায় তোলাবাজি করত বলে অভিযোগ।
স্বপন হাজরা নামে বছর ৬২-র ওই প্রোমোটার আর্মহার্স্ট থানায় প্রেম দাসের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের থেকে একটি বিল্ডিং-এর প্ল্যান স্যাংশন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে প্রেম দাস এবং তার সঙ্গী সঞ্জয় দাস ওরফে বুলিয়া, উত্তম দাস সহ আরও কয়েকজন সেখানে নানা রকমের সমস্যা তৈরি করছে। সেই দলে প্রায় ১০-১৫ জন রয়েছে বলে অভিযোগ স্বপন হাজরার। নির্মাণ কাজের জন্য ৫ লাখ টাকা তোলা দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল। এমনকী তোলা দেওয়ার জন্য ওই প্রোমোটারের পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রোমোটারকে নাকি বলা হয়েছে, দাবি মতো টাকা দেওয়া না হলে প্রোমোটারদের পরিবারকে এর পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই প্রেম দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কে কে জড়িত, অভিযুক্ত কতদিন ধরে এই কাজ চালাচ্ছে… সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আর্মহার্স্ট থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ পত্রে স্বপন হাজরা জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের লোকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং সম্পূর্ণ নিরুপায় বোধ করছেন তাঁরা। এমন অবস্থায় পুলিশের কাছে প্রোমোটার আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন অভিযুক্ত প্রেম দাসকে গ্রেফতার করে আর্মহার্স্ট থানার পুলিশ।