Firing in Kolkata: দিনেদুপুরে বন্দুকবাজের দাপট, রাজাবাজার মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু যুবকের
Crime in Kolkata : গুলিবিদ্ধ দীপক দাস পেশায় একজন প্রোমোটর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে।
কলকাতা : ভরদুপুরে কলকাতায় রাস্তায় চলল গুলি (Firing in Kolkata)। কেশব সেন স্ট্রিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা। মৃত যুবকের নাম দীপক দাস। কেশব রেসিডেন্সির সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন তিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর জখম দীপক দাসকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
রাজাবাজার মোড়ের কাছে আমহার্স্ট স্ট্রিট লাগোয়া কেশব চন্দ্র সেন স্ট্রিটের কাছে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। মৃত দীপক দাস পেশায় একজন প্রোমোটর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রোমোটার দীপক দাসের ব্যবসায়িক বন্ধু এই গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গুলি চালানোর শব্দ পেতেই এলাকাবাসীদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তবে যেহেতু ওই যুবকের মাথায় গুলি লেগেছে, তাই আঘাত যথেষ্ট গুরুতর বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক কোনও বৈরিতা বা প্রোমোটিং সংক্রান্ত কোনও বিবাদের থেকে শত্রুতার কারণেই তাঁকে গুলি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিকে এভাবে দিনে দুপুরে গুলি চালানোর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতদিন প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদ বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে এই ধরনের গুলি চালানোর ঘটনা বেশিরভাগ রাতের অন্ধকারের ঘটতে দেখা যেত। কিন্তু এখন দুষ্কৃতীরা যেভাবে দিনেদুপুরে রাজাবাজার মোড়ের মতো জনবহুল এলাকায় গুলি চালানোয় স্বাভাবিকভাবেই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি চলছে শহর কলকাতার বুকে। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে।
এই গুলি চালানোর ঘটনায় কারা কারা যুক্ত রয়েছে, বা কতজন দুষ্কৃতী ছিল, সেই সব খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। যদিও এই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: ‘কত মানুষের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাব!’ আদালতের নির্দেশ মেনে মেলা করার বার্তা মমতার