Recruitment Scam: চিরকুটে চাকরি অপরাধ বলে মনে করি না: পবিত্র সরকার
Recruitment Scam: চিরকুট বিতর্কে মুখ খুললেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ পবিত্র সরকারও। তাঁর মতে, চিরকুটে চাকরি দেওয়া কোনও অপরাধ নয়। বরং দেখতে হবে সেখানে ঘুষের কোনও যোগ রয়েছে কি না।
কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে এখন সবথেকে চর্চিত ইস্যু ‘চিরকুটে চাকরি’। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে কোনঠাসা শাসক শিবির এখন পাল্টা আক্রমণের পথে এগোচ্ছে। তুলে আনা হচ্ছে চিরকুটে চাকরির তত্ত্ব। সরাসরি টেনে আনা হচ্ছে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নাম। একদিকে যখন কুণাল ঘোষ, পার্থ ভৌমিকরা এমন আক্রমণ শানাচ্ছেন, তখন ভিন্ন সুরও শোনা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমের গলায়। ফিরহাদ বলছেন, চিরকুটে কোনওদিন চাকরি দেওয়া যায় না। এবার এই চিরকুট বিতর্কে মুখ খুললেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ পবিত্র সরকারও (Pabitra Sarkar)। তাঁর মতে, চিরকুটে চাকরি দেওয়া কোনও অপরাধ নয়। বরং দেখতে হবে সেখানে ঘুষের কোনও যোগ রয়েছে কি না। শনিবার বিকেলে কলকাতায় মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চে গিয়ে সেই কথাই জানালেন পবিত্র সরকার।
বিশিষ্ট ভাষাবিদের কথায়, ‘চিরকুটে চাকরি দেওয়াটা অপরাধ বলে আমি মনে করি না। কিন্তু তাঁরা ঘুষ দিয়েছে কি না, অযোগ্য লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছে কি না, তারা দরখাস্ত করেছিল কি না, ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না, সাদা খাতা জমা দিয়েছিল কি না, সেগুলিও তো বলতে হবে। শুধু চিরকুট বললে তো হবে না। আমিও তো কংগ্রেস আমলে চাকরি পেয়েছিলাম। চিরকুটে নয়, ইন্টারভিউ দিয়েই পেয়েছিলাম। তেমন অনেকে বামফ্রন্টের আমলেও চাকরি পেয়েছেন। এখন যাঁরা শাসক, তাঁদেরও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বামফ্রন্টের আমলে… চিরকুট হোক বা না হোক।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির যে তদন্ত ইডি-সিবিআই চালাচ্ছে, সেখানে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে গাদা গাদা নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এদিন পবিত্র সরকার কারও নাম না করে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘ঘুষ দিয়ে চাকরি হয়েছিল কি না, চাকরি বিক্রি হয়েছিল কি না, কেউ বান্ধবীদের ও নিজেদের সুখের জন্য কোটি কোটি টাকা জমিয়েছিল কি না সেই কথাগুলোও বলতে হবে।’