Partha Chatterjee: ‘আমার কেরিয়ারে নজর দিন’, যে কোনও শর্তে জামিনের কাতর আবেদন পার্থর
Partha Chatterjee: গ্রেফতারির পর থেকে কখনও ইডি হেফাজতে, কখনও সিবিআই হেফাজতে, কখনও জেলে... এভাবেই কাটছে তাঁর। কিছুতেই জামিন মিলছে না তাঁর। বুধবার ফের ভার্চুয়ালি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় মহা ফ্যাসাদে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গ্রেফতারির পর থেকে কখনও ইডি (Enforcement Directorate) হেফাজতে, কখনও সিবিআই হেফাজতে, কখনও জেলে… এভাবেই কাটছে তাঁর। কিছুতেই জামিন মিলছে না তাঁর। বুধবার ফের ভার্চুয়ালি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আর এদিন ফের একবার বিচারকের কাছে জামিনের জন্য আবেদন করলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আবারও অনুরোধ করলেন, যে কোনও শর্তের বিনিময়ে যাতে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। তবে অর্পিতার আইনজীবী এদিন জামিনের জন্য কোনও সওয়াল করেননি।
আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৬৬ দিন চলে গিয়েছে। আমি সাহায্য করছি। আমার মেডিক্যাল সাহায্য চাই।” উল্লেখ্য, পার্থ বাবুকে শারীরিক সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখে আদালত আগেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল। এদিন পার্থর কথা শুনে বিচারক তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনাকে মেডিক্যাল হেল্প করা হচ্ছে না? অর্ডার দেওয়া আছে সবরকম মেডিক্যাল হেল্পের জন্য।” কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারককে জানান, “এটা যথেষ্ট না। আমাকে জামিন দিন, যে কোনও শর্তে। আমাকে অপ্রয়োজনে আটকে রেখেছে। আমার কেরিয়ারের দিকে নজর দিন। আমি কখনও এইরকম ঘটনার মুখোমুখি হইনি।” পার্থর কথা শুনে বিচারক তাঁকে বলেন, “আপনার বক্তব্য বিবেচনা করা হবে।”
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বিচারকের কাছে তাঁর আবেদন, তাঁকে যেন মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়। এদিনও অর্পিতা কাঁদো কাঁদো গলায় কথা বলেন বিচারকের সামনে। বলেন, “আমার মায়ের অনেক বয়স। আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তিনি কেমন আছেন, জানি না। একটু অ্যালাও করুন স্যর।” অর্পিতার আবেদন শুনে বিচারক তাঁকে জানান, “মোবাইল ফোনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে জেলের ফোনে কথা বলার জন্য আবেদন করতে পারেন। আমি সেই মর্মে অর্ডার দেব।”