কলকাতা: আপনার পাশের মানুষটি কি ভারতীয়? বাংলাদেশের উদ্ভুত পরিস্থিতি, ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের রমরমায় এখন এই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। ভুয়ো পাসপোর্ট রুখতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। দিন কয়েক আগেই লালবাজারের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকা ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে শহরের প্রত্যেকটি থানায়।
নতুন করে পাসপোর্ট তৈরির আবেদন জমা পড়লে, আবেদনকারীকে থানায় ডেকে নথি যাচাই করলেই হবে না। দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের স্বশরীরে আবেদনকারীর ঠিকানায় পৌঁছে সব কিছু যাচাই করতে হবে। এলাকায় খোঁজ খবর নিতে হবে। ভুয়ো নথি এবং পাসপোর্ট তৈরির চক্র এর আগেও বিভিন্ন সময়ে সমানে এসেছে। চক্রের সঙ্গে যুক্ত এজেন্ট সহ অনেকই বিভিন্ন এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনুপ্রবেশ আটকাতেই পুলিশের এই তৎপরতা বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি গত মাসের শেষে (২৯ নভেম্বর) পর্কস্ট্রিট থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সেলিম মাতব্বর নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক। তারপরেই কলকাতা পুলিশ আরও নড়েচড়ে বসে। খোদ কমিশনারের নির্দেশে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে জারি হয় বিশেষ নির্দেশিকা।
অন্যদিকে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির চক্রের সমরেশ বিশ্বাস নামে এক চক্রী-সহ বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়ছে কলকাতা পুলিশের হাতে। সেই তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের SCO (সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন)। টাকার বিনিময়ে এখনো পর্যন্ত জাল নথি ব্যবহার করে প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু পাসপোর্ট নিয়ে ওই সব বাংলাদেশিরা কোথায় আছে! সেই তথ্য জানতে মরিয়া গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এমনিতেই উদ্বিগ্ন লালবাজার। প্রশাসনের তরফ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। তার মধ্যেই জেএমবি লিঙ্কম্যান সন্দেহে মুর্শিদাবাদ হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার ২ জন। জামাত উল মুজাহিদিনের সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।