Patient falls from Hospital: হাসপাতালের আট তলার কার্নিশ থেকে ধাক্কা খেতে-খেতে নীচে পড়লেন রোগী
Patient jumps from Hospital: রোগীকে উদ্ধার করার জন্য হাত লাগিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। তাঁকে উদ্ধার করার জন্য জোরকদমে চেষ্টা চলছে। আটতলার কার্নিশে বিপজ্জনক অবস্থায় আটকে রয়েছেন ওই রোগী।
আটতলার যে অংশে তিনি আটকে ছিলেন, তার পাশের একটি জানালা থেকে এক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে তাঁকে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। রোগীও হাত নেড়ে নেড়ে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। যে জায়গায় রোগী আটকে ছিলেন, তার নিচেও হাসপাতালের কিছু বেড রাখা। যদি তিনি ওই কার্নিশ থেকে পড়ে যান, তাহলে তাঁর যাতে বেশি গুরুতর কোনও চোট না লাগে, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি খুব ছোট জায়গার মধ্যে ছিল। তবে কোনওরকম জালের ব্যবস্থা করা হয়নি। আর সেটাই কাল হল। হাসপাতালের আট তলার কার্নিশ থেকে সোজা নিচে গিয়ে পড়লেন তিনি।
তিনি বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানালা দিয়ে কীভাবে ওই রোগী বেরিয়ে কার্নিশে চলে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। হাসপাতালের নজরদারিতে কোনওরকম গাফিলতি ছিল কি না, সেই দিকটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দমকলের কর্মীরা হাইড্রোলিক মই লাগিয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। কিন্তু একাধিকবার রোগীর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় দমকলকর্মীরা।
ঘটনার জেরে শিয়ালদহ থেকে মল্লিক বাজার যাওয়ার রাস্তাটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, হাইড্রোলিক মই বসানোর জন্য যথেষ্ট জায়গার প্রয়োজন ছিল। এদিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, জানালা থেকে কার্নিশে চলে আসার পর থেকেই ওই রোগী কখনও সাতটি কখনও আটটি আঙুল দেখিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি কী বলতে চাইছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
যদিও ওই বেসরকারি হাসপাতালের সিইও অভীক রায়চৌধুরী বলেন, “উনি জানালা ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। রোগী ক্রনিক অ্যালকোহলিক। আজ তাঁর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা। তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আজ তাঁর পিসি এসেছেন তাঁকে নিয়ে যেতে। এরই মধ্যে জানালা ভেঙে তিনি বেরিয়ে যান এবং তারপর এই ঘটনা ঘটেছে।”
দেখুন ভিডিয়ো :