AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Patuli: ‘নচিকেতার ওখানেই তো খেয়েদেয়ে চলে যাচ্ছে সবাই’, পাটুলির ১০ কোটি টাকার বাজারে বউনি হচ্ছে ১০ টাকার, অন্ন সংস্থানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা

Patuli: ব্যবসায় ক্ষতির পিছনে আরেক কারণ রয়েছে। ফ্লোটিং মার্কেটের উল্টোদিকেই প্রচুর খাবারের দোকান. চায়ের দোকান হয়েছে। সেখানেই ভিড় জমছে। এক ব্যবসায়ীর কথায়, "ওঁদেরকে বসিয়েছে বলেই তো আর এখানে লোক আসে না। আমরা কিছু ওঁদের বলতেও পারি না।"

Patuli: 'নচিকেতার ওখানেই তো খেয়েদেয়ে চলে যাচ্ছে সবাই', পাটুলির ১০ কোটি টাকার বাজারে বউনি হচ্ছে ১০ টাকার, অন্ন সংস্থানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা
পাটুলি ফ্লোটিং মার্কেটImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2024 | 1:41 PM
Share

কলকাতা: ২০১৮ সালে পাটুলির বাজার ছিল একেবারেই অন্য চেহারায়। নেপথ্যে ভাসমান বাজার। সাধারণ মানুষের চিত্তাকর্ষক ছিল সেই ভাসমান বাজার। কিন্তু তারপর? তারপরের অবস্থা সবার জানা। আবারও কচুরিপানার ডোবা, সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নৌকা আর অচলাবস্থা। এখন আবারও লেই বাজারের হাল ফেরাতে তৎপর প্রশাসন। ভাসমান বাজারের হাল ফেরাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাটুলির বেহাল ভাসমান বাজার নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত KMDA-এর। ১০ কোটি টাকা খরচ করে ১০ বছর আগে তৈরি হয় ভাসমান বাজার। রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি ও প্রচারের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় বাজার। বিরোধীদের প্রশ্ন, এখন যেখানে পৌরসভার টাকাই নেই, তাহলে কেন এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত?

কেনাবেচা না হওয়ায় অনেক দোকানদারই পাততাড়ি গুটিয়েছেন। এখনও ওই বাজারে রয়েছেন বেশ কয়েক ব্যবসায়ী। তাঁদেরই এক জন বললেন, “নচিকেতা দোকানের ওখানে অনকে দোকান খুলেছে। ওখান থেকে মানুষে খেয়েদেয়ে এখানে ঘুরে চলে যাচ্ছে।” আরেক বিক্রেতা বলেন, “এখানে তো পুরো পানা ভর্তি। কাঠ ভেঙে গিয়েছে অর্ধেক। অনেক দোকান উঠেও গেছে। প্রথমে ঘুরতে আসত সবাই। এখন আর আসে না কেউ।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, “এখানে রক্ষণাবেক্ষণ নেই। কাঠের পাটাতন ভিতরে অনেক জায়গাতেই ভেঙে পড়ে গিয়েছে। তাই অনেকেই এখন আসতে ভয় পান। জলটা সৌন্দর্য ছিল। এখন তো আর জলটাই দেখা যায় না। ফ্লোটিং মার্কেটের কী মানে!”

ব্যবসায় ক্ষতির পিছনে আরেক কারণ রয়েছে। ফ্লোটিং মার্কেটের উল্টোদিকেই প্রচুর খাবারের দোকান. চায়ের দোকান হয়েছে। সেখানেই ভিড় জমছে। এক ব্যবসায়ীর কথায়, “ওঁদেরকে বসিয়েছে বলেই তো আর এখানে লোক আসে না। আমরা কিছু ওঁদের বলতেও পারি না। কিছু বলতে গেলেই বলছে আমাদের থানা থেকে বসিয়েছে। ফলে ব্যবসা ঝাড় হয়ে গিয়েছে। সরকার যদি না দেখে, তাহলে আমাদের কিছুই হবে না।” আরেক মহিলা ব্যবসায়ী বলেন, “সরকার কি জানে না? ৪টেয় খুলেছি, এখনও ১০ টাকার বউনিও পর্যন্ত হয়নি।”

১০ বছর আগে ১১৪ টি নৌকা ও ২০০ টি দোকান নিয়ে শুরু হয়েছিল ফ্লোটিং মার্কেট। কাঠের পাঠাতনে পচন। সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। সূত্রের খবর, আবারও পরিকাঠামো উন্নয়নের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।