Sukanta Majumdar: ‘মেরে ফেলার চক্রান্ত’, সুকান্ত অসুস্থ হতেই গর্জে উঠলেন সজলরা
Sukanta Majumdar: এদিন টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে ফুঁসে উঠলেন সজল ঘোষ। সাফ বললেন, “মেরে ফেলার চক্রান্ত। মরে গেলে বাঁচি, সরকারের এরকম একটা ধারণা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো প্রার্থনা করছেন। কিন্তু, কার কাছে করছেন, সেটা আমি জানি না।”
কলকাতা: পুলিশের গাড়িতে উঠে বিক্ষোভ দেখানোর সময়েই ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। অভিযোগ, তারপরেও নিজের গাড়িতে সুকান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সময় টাকিতেই আটকে ছিলেন সুকান্ত। শেষে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানেও চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল বলে অভিযোগ বিজেপির। এমনকী কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে আনার পথেও বারবার গাড়ি ঘুরপথে ঘোরানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের দাবি, সবটাই মেরে ফেলার চক্রান্ত।
এদিন টিভি-৯ বাংলার ক্যামেরার সামনে ফুঁসে উঠলেন সজল। সাফ বললেন, “মেরে ফেলার চক্রান্ত। মরে গেলে বাঁচি, সরকারের এরকম একটা ধারণা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো প্রার্থনা করছেন। কিন্তু, কার কাছে করছেন, সেটা আমি জানি না। সেই জন্য এত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আনা হয়েছে। নাকি রাস্তাতেও ১৪৪ ধারা? লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা। গাড়িতে ওঠার জন্য কেউ তাঁকে গ্রেফতার করলেও করতে পারে। কিন্তু, তাই বলে গাড়িটা চালিয়ে দিল? এতো ইংরেজ জমানায় হত। এতো প্রায় সেরকম।” সজলের দাবি, “মেরে ফেলার চক্রান্ত তো পরিষ্কার। এরা তো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল। আমরা নিশ্চিত ছিলাম ওখানে গেলে সুকান্তদা আর দু’পায়ে হেঁটে বের হবেন না।”
বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুকান্ত। চলছে চিকিৎসা। কিন্তু, প্রথমে তাঁকে বসিরহাটের যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেখানকার চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন, “আমাদের রাজ্য সভাপতি একজন সাংসদ। সাংসদকে মেরে দেবে? এ কোন পুলিশ? ওনাকে যে সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সেখানেও অব্যবস্থা।” যদিও তৃণমূল বলছে, সুকান্ত যা করছেন তা পুরোটাই নাটক। অভিনয় করছেন বলে তোপ দেগেছেন শান্তনু সেন, কুণাল ঘোষেরা।