Post Poll Violence: ‘ঘরছাড়া’-দের তালিকা চাইলেন প্রধান বিচারপতি, ফের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।
কলকাতা : ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় সিবিআই এবং সিটকে নতুন করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘরছাড়া রাজনৈতিক কর্মীদের তালিকাও এ দিন চেয়েছেন বিচারপতি।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আগেই জমা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)। একমাস পুরনো হয়ে গিয়েছে সেই রিপোর্ট। তাই বর্তমানে সেই তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, কত দূর এগোল, তা জানতেই নতুন রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট।
এ দিন ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় জানান, আগে তদন্ত শেষ হোক, তারপর ক্ষতিপূরণ। মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ করেন, শ্যামনগরের কিছু বাসিন্দা এখনও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না এবং তাঁরা কাজেও যোগ দিতে পারছেন না। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ঘরছাড়া সেই সব মানুষদের দীর্ঘ তালিকা অ্যাডভোকেট জেলারেলকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি।
এর আগে বৃহত্তর বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল এফআইআর হলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আজ সিবিআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।
একুশের ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, বহু ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনীহা দেখিয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এর পর গত ১৯ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
ইতিমধ্যেই এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার আবেদনে জানিয়েছিল, রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই মর্মে রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায় কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিবিআইকে তদন্তের অনুমতি দেওয়ার বা সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই রাজ্যের।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার এখনও পর্যন্ত ৪৩ টি এফআইআর হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে নেমে প্রথম সিবিআই যে মামলায় হাত দিয়েছিল সেটা বীরভূমের। ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার প্রতিনিধি। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের মৃত্যুর তদন্ত করার লক্ষ্যে যান তাঁরা। ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে এটাই ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার প্রথম হানা।
আরও পড়ুন : CPIM: উপনির্বাচনের ফল অক্সিজেন জুগিয়েছে, এবার পুরভোটের সমীকরণ নির্ধারণে বৈঠকে সিপিএম
