AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Post Poll Violence: অভিজিৎ ‘খুনে’ তৎপর সিবিআই, গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে দাদার

Post Poll Violence: সম্প্রতি অভিজিৎ খুনে অভিযুক্তদের নামে পুরস্কার ঘোষণা করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের ধরে দিতে পারলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

Post Poll Violence: অভিজিৎ 'খুনে' তৎপর সিবিআই, গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে দাদার
ভোট পরবর্তী হিংসায় তদন্ত সিবিআইয়ের (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2022 | 3:49 PM
Share

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ সরকার ‘খুন’ মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি দাদা বিশ্বজিৎ সরকার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারপরই নড়েচড়ে বসল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতে নিহত অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানায়। আদালত সিবিআইয়ের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি শিয়ালদা আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবেন বিশ্বজিৎ। সিবিআই তদন্তের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে সোমবারই আদালতের দ্বারস্থ হন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ। তারপরই সিবিআই-এর এই তৎপরতা।

সম্প্রতি অভিজিৎ খুনে অভিযুক্তদের নামে পুরস্কার ঘোষণা করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের ধরে দিতে পারলেই ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশের পর অভিযুক্তদের নাম ও ছবি-সহ এই পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে সিবিআই। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন এবং লিফলেট বিলি মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আনা হয়।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এটাও নিশ্চিত করা হয়েছে, এই অভিযুক্তদের সম্পর্কে যিনি খোঁজ দেবেন তার নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযুক্তদের তথ্য পেতে সিবিআই-এর যোগাযোগের নম্বর সহ প্রচারপত্র প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, চার অভিযুক্তের বাড়িতে অক্টোবরের শুরুতেই হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন এক্কেবারে সাতসকালেই চার অভিযুক্তের বাড়িতে আকস্মিক পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। ওই চার জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। চার জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু সেদিনও তিন অভিযুক্তকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু কোনও ইতিবাচক তথ্যও হাতে পাননি তদন্তকারীরা। এরপরও চলে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি। কিন্তু একেবারে ‘গায়েব’ অভিযুক্তরা। এবার অভিযুক্তদের ওপর চাপ বাড়াতে নতুন রণকৌশল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।

ভোট গণনার পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। গলায় তার পেঁচানো উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করার অপরাধে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি। ১৩৬ দিন পর সৎকারের অনুমতি পায় পরিবার।

সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কখনও বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁরা। কখনও আবার নিজাম প্যালেস কিংবা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজে।

অভিজিতের মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস লাশকাটা ঘরে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। শেষে ডিএনএ রিপোর্টে দেখে ভাইয়ের শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করেছেন দাদা। সেপ্টেম্বরে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। সেপ্টেম্বরেই চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে দাঁত কামড়ে পড়ে রয়েছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ।

আরও পড়ুন: Kolkata Dacoity: লোহাপুলের সামনের রাস্তায় ইতঃস্তত ঘোরাফেরা করছিল ওরা, এলাকাবাসীর সন্দেই হল সত্যি