AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Post Poll Violence: নিহত অভিজিৎ সরকারের দাদাকে ‘খুনের হুমকি’ মামলায় নয়া মোড়, বাড়ির এলাকা-জুড়ে বসছে সিসি ক্যামেরা

Post Poll Violence: সিবিআই-এর কাছেও গোটা বিষয়টি জানান। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় সিবিআই। তারপরেই পুলিশি তৎপরতা। এর আগে এই মামলার তদন্তে তত্পর হয়ে উঠেছিল সিবিআই।

Post Poll Violence: নিহত অভিজিৎ সরকারের দাদাকে 'খুনের হুমকি' মামলায় নয়া মোড়, বাড়ির এলাকা-জুড়ে বসছে সিসি ক্যামেরা
অভিজিত সরকার খুনের তদন্তে নয়া মোড় (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 7:41 AM
Share

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া অভিজিৎ সরকারের মামলার মূল সাক্ষী তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের নিরাপত্তায় জোর দিল কলকাতা পুলিশ। নারকেলডাঙ্গা থানার তরফে বিশ্বজিতের বাড়ির চারপাশে পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বজিৎকে তাঁর বাড়ির সামনে এসে দুষ্কৃতীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই হুমকির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন বিশ্বজিৎ। সিবিআই-এর কাছেও গোটা বিষয়টি জানান। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় সিবিআই। তারপরেই পুলিশি তৎপরতা। এর আগে এই মামলার তদন্তে তত্পর হয়ে উঠেছিল সিবিআই। যেহেতু মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, তাই এবার সাক্ষীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার তদন্তে এগোতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

এদিকে, অভিজিৎ সরকারের (Abhijit Sarkar) দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এরইমধ্যে এক পুলিশ কর্তা-সহ দুই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শিয়ালদহ আদালতে নারকেলডাঙার প্রাক্তন ওসি শুভজিৎ সেন ও এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে খবর।

দিন কয়েক আগে প্রাণনাশের হুমকি পান বিশ্বজিত্। তাঁর দাবি, বাইকে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই খুনের হুমকি দিয়ে যায়। মামলা প্রত্যাহার না করলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বিশ্বজিতের দাবি, দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল, যদি তিনি সিবিআই কর্তাদের কাছে নারকেলডাঙার ওই ওসি ও বিধায়কের নামে কিছু বলেন, তাহলে খুন করা হবে। এই ঘটনার পর লালবাজারে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। তবে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। তাই আদালতের কাছে আবেদন করে তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করেন।

এর আগে সিবিআই দফতরেও যান বিশ্বজিত্। কেন এই মামলায় কোনও অভিযুক্তই এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি, তা জানতে চান তিনি। পাশাপাশি এই খুনের মামলায় দ্রুত যাতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। কারণ তিনি অন্যতম সাক্ষী, তাঁর জবানবন্দি গুরুত্বপূর্ণ। খুনে হয়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা করছেন বিশ্বজিত্। তাই আগেই তিনি তাঁর গোপন জবানবন্দি দিতে চাইছেন।

কাঁকুরগাছি অভিজিত্ সরকার ‘খুনে’র ঘটনায় ততপর সিবিআই। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। চার অভিযুক্তের বাড়িতে অক্টোবরের শুরুতেই হানা দিয়েছে সিবিআই। পলাতক অভিযুক্তদের ওপর চাপ বাড়াতেই সিবিআইয়ের এই কৌশল।চার অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। ওই চার জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। চার জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তিন অভিযুক্তকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সদস্যদের।

তার আগে সেপ্টেম্বরেই চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভোটের দিন গলায় তার পেঁচানো উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করার অপরাধে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার।

আরও পড়ুন: ‘ভাটের বৈঠকে ডাকবেন না’, বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠকের মাঝেই আচমকা বেরিয়ে গেলেন রূপা