College Principal: বহিরাগত ছাত্রনেতাদের ‘তাণ্ডবে’ অতিষ্ঠ অধ্যক্ষ, পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ
যোগেশ চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় এই অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভর্তি হোক বা অনুষ্ঠান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলেজে দাপাদাপি করছেন বহিরাগত ছাত্রনেতারা। কলেজের মধ্যে বহিরাগতদের মনোভাব, হাবভাবে এক প্রকার অপমানিত ওই অধ্যক্ষ।
কলকাতা: বহিরাগত ছাত্রনেতাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কলেজের প্রিন্সিপাল। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন তিনি। শনিবার যোগেশ চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় এই অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভর্তি হোক বা অনুষ্ঠান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলেজে দাপাদাপি করছেন বহিরাগত ছাত্রনেতারা। কলেজের মধ্যে বহিরাগতদের মনোভাব, হাবভাবে এক প্রকার অপমানিত ওই অধ্যক্ষ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই আচরণ তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সে জন্যই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যোগেশ চন্দ্র কলেজের ওই অধ্যক্ষ বলেছেন, “দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নামে বহিরাগতরা যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি যদি কোনও দলের মুখপাত্র হই, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কলেজ চত্বরে আমি একটি কাজও কোনও দলের হয়ে করেছি, এ কথা কেউ বলতে কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পদের লোভ আমার নেই। আমার আদর্শ বিক্রি করার জন্য নয়।” বহিরাগত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ভর্তি হোক বা অনুষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ভাবে বহিরাগতরা এসে হুজ্জুতি করছে। যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে দেখাচ্ছে, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে?”
এই অভিযোগের প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেছেন, “উনি অধ্যক্ষের পদকে রাজনীতির কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন। যে ভাবে মিডিয়ায় বসে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল করে বিজেপির কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করেন, এটাও তেমনই করেছেন। যদি আগামী লোকসভায় টিকিট পান, সেই আশায় এ সব করে যাচ্ছেন।”